একের পর এক বিতর্কের জন্ম দেওয়া বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবার দুদকে আবেদন করলেন ব্যারিস্টার সুমন। আজ সকালে দুদক কার্যালয়ে আবেদন করতে যান ব্যারিস্টার সুমন ও তার সহযোগীরা।
বেফাঁস মন্তব্যে শাস্তি পেতে পারেন সালাউদ্দিন
এসময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘১৮ কোটি মানুষ যদি বাংলাদেশে থাকে, তাহলে ১৮ কোটিই ফুটবল ফেডারেশনের এসব দুর্নীতির বিষয়ে জানে। এখন আন্তর্জাতিকভাবেও সবাই জানে যে ফুটবলেও এমন দুর্নীতি হয় বাংলাদেশে। সোহাগের ইস্যুতে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা কাজ শুরুর আগেই দুজন পদত্যাগ করেছেন। তাহলে আপনারা বুঝেন কী তদন্ত হবে।’
ফিফার তদন্তে সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলারদের পাশাপাশি বাফুফের অনেক কর্মকর্তাই মনে করেন, সভাপতি সালাউদ্দিনের ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর দুর্নীতি করে গেছেন সোহাগ। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে মিডিয়ার প্রতিও ক্ষুব্ধ কাজী সালাউদ্দিন।
সাংবাদিকদের বাবা-মা নিয়ে কটাক্ষ, ক্ষমা চাইলেন সালাহউদ্দিন
বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করা সালাউদ্দিন গতকাল সাংবাদিকদের নিয়েও যাচ্ছে তাই বলে ফেলেছেন, যা সভ্যতা-ভব্যতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের আমার এখানে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মার। আরেকটা কন্ডিশন হলো, তার বাপের ফটো পাঠাবে জুতা পরা। ঠিক আছে (হাসি), এটা হতে হবে ম্যান্ডেটরি (আবশ্যিক)। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’
এই প্রসঙ্গ টেনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘সাংবাদিকদের বাবা-মাকে নিয়ে যা বলেছেন সালাউদ্দিন, তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে এটাই বলব যে, পুলিশ যেমন মাদক শনাক্তে ডোপ টেস্টের ব্যবহার করে, তেমন ফুটবল ফেডারেশনে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করে সালাউদ্দিনদের ডোপ টেস্ট করানো উচিত।’