এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে সাড়ে ১৬ শতাংশ

0
139
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সিংহভাগ পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে

প্রবাসী আয়ের পর গত এপ্রিলে পণ্য রপ্তানিতেও ধাক্কা লেগেছে। এই মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কম।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) আজ বুধবার পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

ঈদের মাস হওয়ার পরও গত এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০১ কোটি ডলার। ফলে গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ বছর এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমেছে ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

ইপিবির প্রকাশিক সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই–এপ্রিল সময়ে ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের এই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় এবার পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিল সময়ে ৩ হাজার ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। এদিকে গত মার্চ পর্যন্ত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ছিল। তবে এপ্রিল শেষে এই খাতের রপ্তানিও নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলারে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৫২ শতাংশ কম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.