গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলের কারাগারে ৮৭ দিনের অনশনের পর খাদের আদনান নামের এক ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলার পরে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।
মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় বুধবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সম্মত হয় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। খবর- আল-জাজিরা ও রয়টার্স।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে তারা মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যে রকেট ছোড়ে হয়েছিল তা ছিল আদনানের মৃত্যুর প্রতিবাদে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে অন্তত ২৬টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। এতে ২৫ বছর বয়সী এক বিদেশি নাগরিকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এরপরে মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, কারাকর্মকর্তারা ‘দাঙ্গা প্রতিরোধ’ করার জন্য সেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।