মিয়ানমারের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বকে’ গুরুত্ব দেয় বেইজিং: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
137
মিয়ানমারের জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের (ডানে) সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের বৈঠক। ছবি- মিয়ানমারের সামরিক তথ্য দল/ এএফপি।

মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে দেশটির রাজধানী নেপিডোতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্বকে’ স্বাগত জানিয়েছেন। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পর দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সম্পর্ক জোরদার করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

চীনা সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন জানায়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের জেনারেলকে বলেছেন- বেইজিং মিয়ানমারের সঙ্গে তার ‘বন্ধুত্বকে’ গুরুত্ব দেয়। বৈঠকে তারা ‘দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও উন্নীত করতে’ সম্মত হয়েছেন। খবর- আল-জাজিরা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে কিন গ্যাং বলেন, চীন বিশ্বাস করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা। মিয়ানমারে শান্তি ও ঐক্য ফিরিয়ে আনতে সহায়তার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করাও উচিত।

মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি কিনকে উদ্ধৃত করে জানায়, তার এই সফর ‘শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বই নয়, বিশ্ব মঞ্চে মিয়ানমারের প্রতি চীনের অবস্থানেরও ইঙ্গিত দেয়’।

আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন মিনায়মার সামরিক বাহিনীর একটি প্রধান মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ চীন। মিয়ানমার-সম্পর্কিত ইস্যুতে বেইজিংয়ের অবস্থানের প্রশংসা করে চীনকে বৃহত্তর ভূমিকা পালনে স্বাগত জানান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় মিয়ানমারের জান্তারা। নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিলে তা কঠোর হস্তে দমন করে। এতে অনেক মানুষ নিহত হয়। সারা দেশে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে ওঠে, যা সামরিক বাহিনী দমন করতে পারেনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.