দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটি জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য লাগানো শিল্পকর্ম থেকে পাকা কলা খুলে নিয়ে খেয়ে ফেলেছেন এক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীকে পড়তে হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে। তবে শিল্পকর্ম নষ্ট করার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি তার বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থী বলেন, সকালের খাবার না খেয়ে বের হওয়ায় তিনি ক্ষুধার্ত ছিলেন। এ কারণেই তিনি ডাক্ট-টেপ দিয়ে আটকে রাখা কলাটি খুলে খেয়ে ফেলেছেন। পরে তিনি কলার খোসাটি আবার সেখানে সেঁটে দেন। তিনি নিজেও শিল্পকলা নিয়ে পড়ালেখা করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাউরিজিও ক্যাটেলানের তৈরি করা ওই শিল্পকর্মটির নাম ‘কমেডিয়ান’। শিল্পকর্মটিতে একটি পাকা কলা দেয়ালে ডাক্ট-টেপের সাহায্যে লাগানো ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, খেয়ে ফেলা কলাটির জায়গায় পরে নতুন আরেকটি কলা আটকে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বিবিসির ইমেইলের কোনো জবাব দেয়নি। তবে তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে যে তারা ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করবে না। এমনিতেও প্রদর্শনীর ওই কলাটি দুই-তিন দিন পর পর বদলে ফেলা হয়।
নো হুই-সু নামের ওই শিক্ষার্থী যখন কলাটি খাচ্ছিলেন তখন তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন। এক মিনিটের মধ্যেই তিনি কলাটি সাবাড় করে ফেলেন। পরে তিনি অনলাইনে ভিডিওটি পোস্ট করেন।
ভিডিওতে তাকে উপস্থিত দর্শনার্থীদের উদ্দেশে ‘এক্সকিউজ মি’ বলেই কলাটির দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। শিল্পকর্ম থেকে কলা খুলে খেতে শুরু করলে উপস্থিত লোকজন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খাওয়া শেষে তিনি কলার খোসার পাশে কিছুক্ষণের জন্য স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে আবার চলে আসেন।
শিল্পকর্ম খেয়ে ফেলার ঘটনা সম্পর্কে এর শিল্পী ক্যাটেলান বলেন, ‘কোনো সমস্যা নেই।’
শিল্পী ক্যাটেলানের শিল্পকর্মে পাকা কলার ব্যবহার এটাই প্রথম নয়। আর সেই কলা খেয়ে ফেলার ঘটনাও আগে আরেকবার ঘটেছিল। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে তার বিক্রি হওয়া ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের শিল্পকর্ম থেকে পারফরম্যান্স শিল্পী ডেভিড দাতুনা একটি কলা খেয়ে ফেলেছিলেন।