কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বোরকা পরা দুর্বৃত্তদের গুলিতে জামাল হোসেন (৪০) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই উপজেলার নোয়াগাঁও (জিয়ারকান্দি) গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
রোববার রাত ৮টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামাল হোসেন রাতে বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বোরকা পরা দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করার পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দাউদকান্দির গৌরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক জামাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গৌরিপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মোয়াজ্জেম আহমেদ বলেন, জামাল হোসেনের বুকে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে গৌরীপুর বাজারে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় বাজারে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, তিতাসে রাজনৈতিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গত এক দশকে ১৫টিরও বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- পূর্বশক্রতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বোরকা পরা চার থেকে পাঁচজন লোক এসে জামাল হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে।