দিনভর দাবদাহ। বিকেল গড়াতেই আকাশ কালো করে মেঘ হাজির। এরপর দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি। গ্রীষ্ম তার এই চিরায়িত রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে কালবৈশাখী বয়ে গেছে। শুধু রাজধানী নয়, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামীকাল রোববারও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। দুপুর পর্যন্ত রোদ থাকলেও তাপমাত্রা আজকের তুলনায় কমতে পারে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সময়ে বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভাবনা বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আজ বিকেল সাড়ে চারটা থেকে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয় দমকা হাওয়া। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কার্যালয়ের হিসাবে বাতাসের সবচেয়ে বেশি গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার। আর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তা রেকর্ড করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ১ মিলিমিটার।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘বৈশাখ মাসের যে স্বাভাবিক আবহাওয়া, তা এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। অর্থাৎ দিনে রোদ ও বিকেলে দমকা হাওয়া বা কালবৈশাখী হয়। তবে আগামী তিন–চার দিন ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।’
রাজধানীতে ঝড় ও দমকা হাওয়া শুরু হওয়ার পর রাস্তায় থাকা ময়লা ও ধুলা উড়তে থাকে। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী রাজধানীবাসী বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। অনেকে নিরাপদ স্থান খুঁজতে ছোটাছুটি শুরু করেন। তবে যেসব এলাকায় নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে বেশ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আজ দিনের বেলার দেশের অর্ধেকেরও বেশি এলাকায় দাবদাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল বান্দরবন ও খুলনায়। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকাতেও দিনে দাবদাহ ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনে প্রখর রোদের কারণে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার মানুষকে গরমের কষ্টে থাকতে হয়। আর্দ্রতা বেশি থাকায় রোদে অল্প সময় থাকলেও ঘেমে একাকার হতে হয়েছে। ফলে বিকেলের মেঘ ও সামান্য বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমে মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।