হাই- টেক পার্ক খুঁড়িয়ে চলছে

0
131
রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস

আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে দেখতে চায় সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে জেলায় জেলায় নেওয়া হয়েছে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ১০টি পার্কের কার্যক্রম। তবে পার্কগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কার্যপরিধি একেবারেই কম। জুতসই পরিবেশ না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান পার্ক থেকে গুটিয়ে নিয়েছে তাদের কার্যক্রম। কেউ কেউ আবার পার্কে বরাদ্দ নিয়েও শুরু করেনি কর্মকাণ্ড। পার্কে চালু থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কল সেন্টার আর ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানাই বেশি। দক্ষ জনবল সংকটে ধুঁকছে চালু প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক পার্ক অস্তিত্ব টেকাতে হোটেল-রিসোর্ট ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। তথ্যপ্রযুক্তির বাজার বিকশিত করতে স্থাপিত পার্কগুলো মূলত প্রশিক্ষণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

যে ১০ পার্ক চালু

এরই মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক ও শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, চট্টগ্রামে শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, নাটোরে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, বরিশালে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক এবং চুয়েট ও কুয়েটে আইটি ইনকিউবেটর চালু হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের সহায়তায় ১২ জেলায় ১২টি এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১১ জেলায় ১১টি হাই-টেক পার্কের নির্মাণকাজ চলছে। আরও ৩৪ জেলায় পার্ক করার পরিকল্পনা চলমান। হাই-টেক পার্কগুলোতে এরই মধ্যে প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গুটিয়ে নিচ্ছে অনেকেই

২০১৭ সালে চালু হওয়া যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের শুরুতে যে ৩৩ কোম্পানি ব্যবসার জন্য চুক্তি করেছিল, এর মধ্যে ২২ কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়েছে। বাকি ১১ কোম্পানির অধিকাংশই রুগ্‌ণ অবস্থায় টিকে রয়েছে। মাত্র একটি বিদেশি কোম্পানি পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিয়েছিল, সেটিও চলে গেছে। পরে আরও কিছু নতুন কোম্পানি পার্কে জায়গা বরাদ্দ নেয়। সরেজমিন দেখা যায়, পার্কে বর্তমানে ৪০টির মতো প্রতিষ্ঠান চালু আছে। এর মধ্যে মাত্র ৯টি কোম্পানি সফটওয়্যার তৈরি বা বিপণন নিয়ে কাজ করে। বাকি কোম্পানিগুলো ই-কমার্স, কল সেন্টার, ইন্টারনেট সেবাদানকারী, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে।

প্রায় সাড়ে তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনার পর একটি প্রতিষ্ঠান লোকসানে পড়ে গত বছর হাই-টেক পার্ক ছেড়ে দেয়। বর্তমানে যশোরের একটি বাসাবাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মেহেদী হাসান শোভন বলেন, পার্কের চেয়ে অনেক কম খরচে যশোর শহরেই ব্যবসা করা যায়। তিনি বলেন, আইটি পার্কটি বর্তমানে টিকে আছে বিভিন্ন কল সেন্টারের ওপর ভর করে। সেখানে দু-একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ সফটওয়্যারভিত্তিক কাজ করে না। ফ্রিডম ফাইটার আইটির ডিজিএম মিকাইল হোসেন বলেন, দেড় বছর কাজ করার পর ঢাকাতে চলে যেতে হয়েছে। ওখানে পরিবেশের কারণে ভালো কোনো ডেভেলপার যেতে চান না। ইমতিয়াজ নামের স্থানীয় বিনিয়োগকারী বলেন, জনশক্তির অভাব এখানে প্রকট। ঢাকা, খুলনা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে আইটি প্রকৌশলীরা এখানে আসতে চান না। বেশিরভাগ কর্মী আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন।

যশোর আইটি পার্কের পরিচালনার ঠিকাদার টেকসিটির নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, যারা চলে গেছে, তারা পরিবেশের কারণে যায়নি। যারা বর্তমানে পার্কে আছে, তাদের ভালো ব্যবসা চলছে।

সিলেটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কেও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানির তেমন কার্যক্রম নেই। পার্কটি এখনও শতভাগ প্রস্তুত নয়। এখন পর্যন্ত জায়গা বরাদ্দ নেওয়া ১৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র দুটি কার্যক্রমে গেছে। ব্যবসা শুরুর আগেই অনেক প্রতিষ্ঠান সরে গেছে। বরাদ্দ বাতিল করা নুহা অ্যান্ড সোহান এন্টারপ্রাইজের মালিক উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ বলেন, পাঁচতারকা হোটেলের জন্য জায়গা বরাদ্দ নিয়েছিলাম। ঋণের ব্যবস্থা না থাকায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ছেড়ে দিয়েছি। আরএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল জানান, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে তাঁরা কাজ শুরু করতে দেরি করছেন। বুট ক্লাব ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণকারী রহমানিয়া সুপারমার্কেটের মালিক সৈয়দ মহসিন হোসেন জানান, অনেকে জমি নিয়ে রেখেছে। তবে কাজ শুরু করছে না। ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, পার্কে বরাদ্দ নেওয়া জায়গার ওপর ঋণের সুবিধা না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সিলেট হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া জানান, কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান এখানে গাড়ি উৎপাদনসহ নানা পণ্য উৎপাদনের আগ্রহ দেখিয়েছে।

কাজে আসছে না ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রশিক্ষণ

নাটোর শহরের কান্দিভিটা এলাকার পুরোনো জেলখানা মেরামত করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার। এখানে ১০টি স্পেসের সাতটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু তিনটি আইটি প্রতিষ্ঠান সেখানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বেসিক কোর্সের ওপর ১১ হাজার ৮৯৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার সেতু বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখনও সনদ পাইনি। আর প্রশিক্ষণ তেমন কাজে লাগেনি। পরে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে।’

এ ব্যাপারে ইনকিউবেশন সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, তাই আগের অনেক বিষয় জানি না। তবে এখন যেসব প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদের কেউ যদি সফল হতে না পারেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাঁদের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য।’

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পাশে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারেও সাড়া কম। বলা হয়েছিল, চালু হলে বছরে প্রায় ৫০০ আইটি স্টার্ট-আপ এখানে যুক্ত হবে। তবে সেন্টারটি চালুর এক বছরেও স্টার্ট-আপ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৪০ জন। তাঁদের বেশিরভাগই মাঝপথে ঝরে গেছেন। বর্তমানে নিজেদের প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন সাত-আটজন। প্রচারণার অভাবে নতুন উদ্যোক্তারা এখানে যুক্ত হচ্ছেন কম। ইনকিউবেশন সেন্টারের তদারকির দায়িত্বে থাকা হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, প্রথম বছর স্টার্ট-আপ কিছুটা কম ছিল। অল্প কয়েকজনই অসাধারণ কিছু বিষয় উদ্ভাবন করতে যাচ্ছেন, ধীরে ধীরে এটা বাড়বে।

ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার আধিক্য

কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে ৭০টি প্লট বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৭ প্লটে বিভিন্ন কোম্পানি উৎপাদনে গেছে। নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ শুরু না করায় ৯টি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। চালু প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হুন্দাই, নকিয়া, লিও, আইসিটি কেবল ইত্যাদি। হাই-টেক পার্কের অফিস ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান ইবসে শাহী জানান, এখানে ভারত, চীন ও কোরিয়ার চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চালু ১৭টি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে চার হাজার শ্রমিক কাজ করছেন।

টিকে থাকতে রিসোর্ট ব্যবসা

লোকসান ঠেকাতে যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক কর্তৃপক্ষ রিসোর্ট ও হোটেল ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। চালু হয়েছে তিন তারকা মানের হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। গত বছরের ১ মার্চ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ছয় মাসে সেখানে ৫৫টি অনুষ্ঠান হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ে ও বৌভাতের অনুষ্ঠান হয়েছে ২৩টি, সেমিনার হয়েছে ১২টি। এ ছাড়া চাকরি মেলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানও হয়েছে। হাই-টেক পার্কের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টেকসিটির নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, দেশি-বিদেশি মানুষের ব্যবহার উপযোগী আর যশোরবাসী যেন ভালো ইভেন্ট করতে পারে, এ জন্যই পার্কটিতে হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বরিশালে ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে আইটি পার্ক। সেখানে হয়েছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। রাজশাহীতে ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক। সেখানে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ২০২১ সালে।

কারা কী বলছেন

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বাস্তব সমীক্ষা ছাড়াই হাই-টেক পার্কগুলো গড়ে উঠছে। এগুলোর পরিকল্পনা, নির্মাণ, বাস্তবায়নসহ কোনো পর্যায়েই বেসিস তা সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। তিনি বলেন, যেসব স্থানে হাই-টেক পার্ক হচ্ছে, সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠেনি। ফলে একজন আইটি প্রকৌশলী ঢাকায় যে পরিবেশ পাচ্ছেন, তা যশোর কিংবা রাজশাহীর হাই-টেক পার্কে পাবেন না। ফলে তিনি তো সেখানে থাকার ইচ্ছা দেখাবেন না। বেসিস সভাপতি বলেন, দেশজুড়ে হাই-টেক পার্ক না বানিয়ে সিলিকনভ্যালির মতো একটি এলাকাকে যদি তথ্যপ্রযুক্তির হাব হিসেবে গড়ে তোলা হতো, তবে দেশের আইটি খাত প্রকৃতপক্ষে উপকৃত হতো।

দেশে প্রথম সারির প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিষয়টি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে শুরুর ইতিহাস হলো, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাই-টেক পার্ক নির্মাণে ঢাকার মহাখালীর কড়াইল বস্তি এলাকাটি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এটি ছিল টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের সম্পত্তি। তবে বস্তি উচ্ছেদ করা যায়নি। ফলে দুই দশক পিছিয়ে পড়েছি আমরা। তিনি বলেন, আমরা ঢাকাতেই হাই-টেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারণ, আইটি প্রকৌশলীরা ঢাকা ছেড়ে বাইরে যেতে চান না।

প্রায় দুই বছর এই দায়িত্ব পালনকারী হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, দেশজুড়ে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের স্থানীয় পর্যায়ে বিকশিত হচ্ছে। যেখানে হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠছে, সেখানে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সম্প্রতি যশোর হাই-টেক পার্ক ঘুরে সেখানে বিপুল কর্মযজ্ঞ দেখা গেছে। তাই হাইটেক পার্ক নিয়ে খাত-সংশ্লিষ্টরা যেসব অভিযোগ করেছেন, তা ঠিক নয়। অনেকেই নিজস্ব স্বার্থে অনেক কিছু বলেন, তবে সরকার তার লক্ষ্য অনুসারে কাজ করে।

এ ব্যাপারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সারাদেশের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি তথা আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ে প্রশিক্ষিত করতে হবে। তাই প্রতিটি জেলা শহরে হাই-টেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। স্থান বরাদ্দ পাওয়া অনেক প্রতিষ্ঠান হাই-টেক পার্ক ছেড়ে দিচ্ছে কিংবা দিয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন খুলনা, সিলেট ও বরিশাল ব্যুরো, যশোর অফিস, নাটোর, গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও রাবি প্রতিনিধি এবং সিংড়া সংবাদদাতা]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.