১৯৭৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সেটি ছিল দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে। ইন্তিখাব আলম ছিলেন নেতৃত্বে। পাকিস্তান সেদিন জিততে পারেনি, হেরে গিয়েছিল ২২ রানে।
৫০ বছর পর গতকাল রাতে সেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই ওয়ানডেতে ৫০০ জয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছে বাবর আজমের দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০০ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করা তৃতীয় দল পাকিস্তান।
ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি। মেলবোর্নে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সেই থেকে বুধবার রাতের পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৯টি। ২৯টি দল খেলেছে এই ম্যাচগুলো। এর মধ্যে ৯টি দল কমপক্ষে ৫০০ ম্যাচ খেলেছে, আর ১ হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে একটি।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা দলটি কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড নয়; দলটি ভারত। ১৯৭৪ সালে প্রথম ম্যাচ খেলা ভারত এখন পর্যন্ত খেলেছে ১ হাজার ২৯ ম্যাচ। জয়ের সংখ্যায় অবশ্য ভারত শীর্ষে নেই।
দুবারের বিশ্বকাপজয়ী দেশটি ওয়ানডে জিতেছে ৫৩৯টি। জয়ের সংখ্যায় সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়া। ৯৭৮ ম্যাচের মধ্যে ৫৯৪টিতে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৫০০ ম্যাচ জেতা প্রথম দল অস্ট্রেলিয়া। জয়ের হারেও এগিয়ে তারাই (৬০.০২)।
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর পাকিস্তান তৃতীয় দল, যাদের ওয়ানডে জয়ের সংখ্যা ৫০০ স্পর্শ করেছে। এ জন্য ১৯৯২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের খেলতে হয়েছে ৯৪৯ ম্যাচ। জয়ের হারে ভারতের কাছাকাছিই অবস্থান পাকিস্তানের (৫২.৬৮), ভারতের জয়ের জয়ের হার ৫২.৩৮।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয়ের সংখ্যা পাঁচ শর দিকে নিয়ে যাওয়ার দৌড়ে আছে কাছাকাছি আছে চারটি দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪১১, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ৩৯৯ করে আর ইংল্যান্ড ৩৯২ জয় নিয়ে যথাক্রমে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে আছে।
১৯৮৬ সালের মার্চে প্রথম ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ৪০৯ ম্যাচ। এর মধ্যে জয় এসেছে ১৪৯টিতে, হার ২৫২ ম্যাচে। জয়ের হার ৩৬.৪৩। বাংলাদেশের চেয়ে ১৫০টি ম্যাচ বেশি খেলেছে জিম্বাবুয়ে। তবে আফ্রিকান দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে ৩টি জয় কম পেয়েছে।