বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতগামী যাত্রীদের চাপ, ভাঙল কাচের দেয়াল

0
94
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। আজ সোমবার সকালে

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী মানুষের ভিড় বেড়েছে। ঈদের এক দিন পর আজ সোমবার ভোর থেকেই ইমিগ্রেশনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়। তীব্র রোদ আর গরমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ভারতে নিয়মিত চিকিৎসা নেওয়া রোগী ও রোগীর স্বজনদের পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড় বাড়ছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে। গতকাল রোববার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে। ঈদের পর আজ থেকে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আগামী এক সপ্তাহ এমন ভিড় থাকবে বলে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা জানান।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব আজ সকালে বলেন, আজ থেকে ভারতগামী যাত্রীর চাপ বাড়ছে। অন্য দিন সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে সকালের যাত্রীর চাপ ক্লিয়ার (শেষ) হয়ে যায়। কিন্তু আজ সকাল ৯টার পরও যাত্রীর দীর্ঘ লাইন রয়েছে।

বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ভেঙে যাওয়া কাচের দেয়াল
বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ভেঙে যাওয়া কাচের দেয়াল

ভারতগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে মানুষকে তীব্র রোদে দীর্ঘ লাইনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এরপর ইমিগ্রেশনে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। যাত্রীর চাপে সকাল সাড়ে আটটার দিকে বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সুরক্ষা দেয়ালের কাচ ভেঙে পড়ে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও যাত্রীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থায় পড়ছেন। সীমান্তের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দপ্তরের সামনেও দীর্ঘ লাইন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

ওসি আহসান হাবীব বলেন, ‘সকালে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ বাড়ে। আমরা সেই চাপ ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। তবে ওপারে (ভারতের পেট্রাপোল) মানুষের চাপ বেশি। ভোগান্তিও বেশি। আমাদের এপারে কোনো সমস্যা নেই।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.