বিক্রি বা এমন কোনো উদ্দেশ্যে নয়, খেলার জন্যই ডেভিড ওয়ার্নারদের ব্যাট চুরি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। তবে কাদের ব্যাট আর গিয়ার চুরি করছেন, সে সম্পর্কেও কোনো ধারণা ছিল না বলে দাবি তাঁদের।
১৫ এপ্রিল বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিতে যাওয়ার পথে খোয়া যায় দিল্লি ক্যাপিটালস দলের খেলোয়াড়দের ১৬টি ব্যাটের সঙ্গে প্যাড, থাই প্যাড, জুতাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। সরঞ্জামগুলো ছিল অধিনায়ক ওয়ার্নারসহ মিচেল মার্শ, ফিল সল্ট ও যশ ধুলের। পরে ২১ এপ্রিল নিজের ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে একটি স্টোরি পোস্ট করে ওয়ার্নার জানান, ফিরে পাওয়া গেছে চুরি যাওয়া সরঞ্জাম। যদিও যে ছবি ওয়ার্নার পোস্ট করেন, তাতে ছিল ১১টি ব্যাট। ওয়ার্নার জানান, আরও কিছু জিনিস উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওয়ার্নার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ঘটনায় আটক করা দুজন হলেন ৩০ বছর বয়সী ট্রাকচালক এম চেলুভারাজু ও তাঁর সহকারী ৩০ বছর বয়সী সুদানশু কুমার। তবে টাকার জন্য ওয়ার্নারদের ব্যাট চুরি করেননি বলে দাবি করেছেন দুজন। সেসব বিক্রি করার কোনো পরিকল্পনাও নাকি ছিল না তাঁদের। তাঁরা সেসব নিয়েছিলেন খেলার উদ্দেশ্যেই!
পুলিশ ১২টি ব্যাটের সঙ্গে উদ্ধার করেছে ১৮টি বল, চার জোড়া গ্লাভস, দুটি হেলমেট, তিন জোড়া পায়ের প্যাড, দুই জোড়া থাই প্যাড, একটি অ্যাবডমিনাল গার্ড ও একটি ব্যাগ। সব মিলিয়ে এসব সরঞ্জামের দাম প্রায় ১৬ লাখ রুপি বলেও জানানো হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আপাতত সরঞ্জামগুলো পুলিশ হেফাজতে আছে, আদালতের মাধ্যমে ওয়ার্নারদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
আইপিএলে খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম বহন করার জন্য একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। বেঙ্গালুরুর হোটেল থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই হারিয়ে যায় ব্যাট ও অন্যান্য গিয়ার। খেলোয়াড়দের লাগেজ বহনকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে সেসব উদ্ধারে নামে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, চুরিটা হোটেল বা বিমানবন্দরে হয়নি। বরং সেটি করা হয়েছে রাস্তায়। পুলিশের এক তদন্তকারী কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম বহনকারী ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত চেলুভারাজু। তবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই ৪০ মিনিট থেমে ছিল সেটি। পরে চেলুভারাজু ও তাঁর সহকারীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চুরির তথ্য। দুজন একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রাক থামিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাগ খুলে জিনিসপত্র বের করে নেন বলে স্বীকার করেন।
তবে এর জন্য কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে, সেসব নাকি ভাবেননি অভিযুক্ত দুজন। পুলিশের কাছে তাঁরা বলেছেন, ‘আমরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলি। প্রথমে তাই ব্যাট চুরির সিদ্ধান্ত নিই। তবে ব্যাগ খুলে দেখি, আমরা ব্যবহার করতে পারি এমন জিনিসপত্রও আছে।’
অভিযুক্ত দুজনের দাবি, ডেভিড ওয়ার্নার বা অন্য কোন খেলোয়াড়ের ব্যাট-প্যাড তাঁরা চুরি করছেন, সে সম্পর্কে নাকি কোনো ধারণাই ছিল না তাঁদের। ওয়ার্নারদের তাঁরা চেনেনও না।