বৈশ্বিক ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার ঈদ ফ্যাশনেও লেগেছে ভিনটেজ লুক বা সাবেকিয়ানার হাওয়া। সাজপোশাকে সাবেকি আমেজ আনার আদ্যোপান্ত জানাচ্ছেন ফ্লোরিডা শুভ্রা রোজারিও
ঘুরে ফিরে ফ্যাশন দুনিয়ায় দাপট চলছে ভিনটেজ বা সাবেকি লুকের। পোশাক থেকে শুরু করে গয়না, চুলের স্টাইল, মেকআপ—সবকিছুতেই এখন দেখা যাচ্ছে এই ভিনটেজ আমেজ। এই ঈদেও তাই। ঈদের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাইলে নিজেকে ফিরিয়ে নেওয়া যায় সেই ষাট, সত্তর, আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে।
একবার মনে করে দেখি তো কেমন ছিল সে সময়ের সাজপোশাক। আমাদের মা আর নানি-দাদিদের আমলে সাজপোশাক ছিল স্নিগ্ধ আর জাঁকজমকপূর্ণ—দুই আমেজই। এই যেমন জরিপাড়ের শাড়ি, জরি বা চুমকির কাজ করা জর্জেটের শাড়ি, ফুলেল মোটিফের ঐতিহ্যবাহী কাতান, ছিমছাম প্রিন্টের রেশমি শাড়ি ইত্যাদি। লম্বা হাতা, কলসি হাতা, স্লিভলেস, চোলি বা জ্যাকেট স্টাইল—সব রকম ব্লাউজই ছিল তখন ট্রেন্ডি।
ইচ্ছা করলে পারিবারিক সংগ্রহ থেকেই বেছে নেওয়া যায় এমন শাড়ি। ছবির অ্যালবাম ঘেঁটে বা পুরোনো আমলের নায়িকাদের লুক অনুসরণ করে ব্লাউজ বেছে নেওয়া যায় এর সঙ্গে। এবার অবশ্য সুপরিচিত দেশি ফ্যাশন হাউজ ভার্মিলিয়ন তাদের ঈদ কালেকশন পুরোটাই সাজিয়েছে সাবেকি ঢঙের শাড়িতে।
অনলাইন উদ্যোগ বেগম বাহারের মতো মিরপুরেও মিলছে আগের দিনের মতো নকশার বেনারসি শাড়ি। সাজের মধ্যে চকচকে লাল লিপস্টিক তো নব্বই দশকের সেরা ট্রেন্ড ছিল। মেরুনও দারুণ লাগবে। আশির দশকে গ্লসি লিপস্টিকে মভ, গোলাপির দাপট ছিল বেশি।
এ ছাড়া গালে গোলাপি বা লাল ক্রিমি ব্লাশঅন বা রুজ, চোখে টেনে দেওয়া আইলাইনার আর মোটা কাজলরেখার কথা কেউ ভোলেনি। চুলের সাজে ছিল সামনের দিকে পাফ করা খোঁপা। সে সময় পাটিবেণি, ফ্রেঞ্চব্রেইড ছাড়াও নানা ধরনের বিনুনি বেঁধে খোঁপা করার চল ছিল, সঙ্গে থাকত ট্যাসেল।
ভ্রু পল্লবের মাঝে একটা বড় টিপ ভালো লাগবে যাদের মুখের আকৃতি বড়। ছোট মুখের ক্ষেত্রে ছোট টিপ ভালো লাগবে। ভ্রুর ঠিক মাঝে টিপটা না পরে সেই আগের দিনের মতো কিছুটা ওপরে পরলে ভালো লাগবে বেশি। সবশেষে কানের পাশে চুলের ভাঁজে দুইটা গোলাপ গুঁজে দিলেই ভিনটেজ সাজ হবে পরিপূর্ণ।
ছবি: সিক্স ইয়ার্ডস স্টোারি ও ভারমিলিয়ন