দীর্ঘ ৯ মাস ২২ দিন পর পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে পারাপার শুরু হয়। সেতুর বাম পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে চলাচল করছেন মোটরসাইকেলচালকরা।
মোটরসাইকেলের জন্য একটি টোল বুধ বরাদ্দ থাকলেও সকাল থেকে মোটরসাইকেলের চাপ থাকায় প্রথম দুটি লেন দিয়ে টোল আদায় করা হয়। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ কিছু শর্ত আরোপ করেছে।
সরেজমিনে সকাল ৬টায় দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার আগে সেতু উত্তর থানার পূর্ব পাশ দিয়ে কয়েক শ মোটরসাইকেল আরোহী লাইনে অপেক্ষা করছেন। পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হতে অনেকে বুধবার রাত ১১টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন বলে জানিয়েছেন কয়েক মোটরসাইকেলচালক। আবার অনেকে সেহেরি খেয়ে রওনা দেন।
এদিকে প্রতি মিনিটে ৪টি মোটরসাইকেল পারাপারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গড়ে ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল টোল প্লাজা পার হতে পারছে। সর্বশেষ আড়াই ঘণ্টায় প্রায় তিন হাজার মোটরসাইকেল আরোহী মাওয়া টোল প্লাজা অতিক্রম করে।
টোলপ্লাজার সামনে অপেক্ষমাণ মো. সোহাগ হোসেন জানান, তিনি বুধবার রাত নয়টায় চট্টগ্রাম গ্রাম থেকে রওয়ানা দিয়ে মাওয়া টোলপ্লাজার রাত দুইটায় পৌঁছেছেন। যাবেন খুলনায়।
আবদুল করিম এসেছেন গাজীপুর থেকে। সোহাগ ও করিমের মতো প্রায় সব চালক-আরোহী চান যেন নিয়ম মেনে সবাই চলেন।
তবে ছয়টি শর্ত মেনে মোটরসাইকেল চালকরা পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন। সেতু কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে সবাইকে ১০০ টাকার নোট হাতে রাখতে বলছেন।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজ্জব আলী জানান, সর্বশেষ আড়াই ঘণ্টায় প্রায় তিন হাজার মোটরসাইকেল আরোহী মাওয়া টোল প্লাজা অতিক্রম করে। এখন পর্যন্ত মোটরসাইকেল আরোহীরা নিয়ম মেনে পারাপার হচ্ছে।