ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি স্কুলে অনুদান নিতে গিয়ে আতঙ্কে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৮৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৩২২ জন। হুতি নিয়ন্ত্রিত সরকারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গার্ড়িয়ান। রমজান মাসের শেষের দিকে, ঈদের আগ মুহূর্তে বুধবার এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।
হুতি নিয়ন্ত্রিত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা বলছে- ওই অনুদান বিতরণের আয়োজন করে সেখানকার ব্যবসায়ীরা। বার্তা সংস্থার এপির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আবদেল রহমান আহমদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, অনুদান বিতরণের সময় ভিড়ের মধ্যে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আকাশের দিকে গুলি ছোড়ে সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীরা। তারা ইলেকট্রিক তারে অনবরত আঘাত করে। এতে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনুদান প্রার্থীরা এবং ছোটাছুটি করতে থাকেন।
বাব আল ইয়েমেন এলাকায় এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ঘটনার পর সেখানে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে- শ খানেক লোক ওই স্কুলে জড়ো হয়েছিলেন অনুদান নেওয়ার জন্য।
স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুদান বিতরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৫ সাল থেকে এ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেখেছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে ইয়েমেন।
এর মাত্রা আরও বেড়ে গেছে ২০১৫ সালে যখন হুতি বিদ্রোহীরা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট আবরাবুহ মনসুর বিদেশে পালিয়ে যায়।
এরপর আরব দেশগুলোর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সেখানে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রেসিডেন্টের শাসন পুনরুদ্ধার করে।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ সেখানে মারা গেছেন।