টানা তিন দিন লড়াইয়ের পর ২৪ ঘণ্টা (এক দিন) যুদ্ধ বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। সুদানের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
এদিকে গত চার দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে দেশটিতে প্রায় ২০০ সাধারণ মানুষ নিহত ও ২০০০ জন আহত হয়েছে। সুদানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ভলকার পার্থেস এ কথা জানান।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যস্থতায় মানবিক দিক বিবেচনা করে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে মিলিশিয়া আরএসএফ। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা প্রথমে আসে আরএসএফের পক্ষ থেকেই। মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান মোহাম্মেদ হামদান দাগালো জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি ছিল। তবে সেনাবাহিনী জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে কিছু জানে না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জেনারেল শামস এল দিন কাব্বাসি নামের এক জেনারেল সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া টিভিকে জানান, সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।
সুদানে সেনাবাহিনী-আরএসএফ’র সংঘাতে নিহত বেড়ে ২০০
সুদানের রাজধানী খার্তুমের বেশিরভাগ অঞ্চল এখন শান্ত রয়েছে। তবে মঙ্গলবারও প্রেসিডেন্ট ভবন এবং সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের কাছে সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের একটি গাড়িবহর লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন। জি-৭-এর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্লিংকেন বলেন, সুদানে সংঘটিত ঘটনাটি ছিল বেপরোয়া, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবশ্যই অনিরাপদ। এর আগে রাজধানী খার্তুমে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক আইদেন ও’হারা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।