‘অনেক ইচ্ছা ছিল যে, ঈদে বেতন-বোনাস পাবো, কেনাকাটা করবো। কিচ্ছু নাই এখন। আগুনে পুড়ে সব শেষ।’
হতাশা ব্যক্ত করে কথাগুলো বলছিল আগুন থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরা রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটের একটি দোকানের শিশু কর্মচারী মো. নাহিদ। শনিবার সকালে মার্কেট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
নাহিদ থাকে কামরাঙ্গীর চরে। দোকান পুড়ে যাওয়ায় মুষড়ে পড়া শিশুটি হতাশ কণ্ঠে বলে, ‘ঈদ করতে পারবো তো?’
নাহিদ বলে, ‘আগুন লাগার কথা শোনার পর দোকানের মালামাল বাঁচাতে ঘণ্টাখানেক আগে আমি ভেতরের গলি দিয়ে দোকানে যাই। সেখানে যাওয়ার পর দেখি সবকিছু আগুনে পুড়ে লাল হয়ে গেছে। কোনো কিছু বাঁচাতে পারিনি। সব পুড়ে গেছে। ধোঁয়ার কারণে এক সময় আমার বেহুঁশ হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। আমার দোকানের মালিক আমাকে বের করে আনছে।’
এখনো বেতন-বোনাস পাওয়া হয়নি জানিয়ে নাহিদ বলে, ‘আমার মালিক বলেছে রক্ত বিক্রি করে হলেও আমাদের বেতন-বোনাস দেবেন।’
শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার তথ্য জানতে পারে ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণ পরে ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে আরও ১২টি ইউনিট অগ্নিনির্বাপনী কাজে যোগ দেয়। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট।