উত্তর কোরিয়া বলছে যে তারা আন্তঃমহাদেশীয় নতুন একটি সলিড-ফুয়েল মিসাইল নিক্ষেপের পরীক্ষা চালিয়েছে এবং এটি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ইতিহাসে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ মিসাইল।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়াতে এই পরীক্ষাকে অভিনন্দন জানিয়ে একে ‘অলৌকিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল পরীক্ষার জন্য জাপানে বেশ কিছু লোককে তাদের এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সলিড-ফুয়েল মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্রে মিহি পাউডারের মতো কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এটি লিকুইড-ফুয়েল বা তরল জ্বালানি দিয়ে চালিত মিসাইলের চেয়েও দ্রুত নিক্ষেপ করা যায়। সলিড-ফুয়েল মিসাইলকে মাঝপথে আটকে দেওয়াও কঠিন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন এধরনের মিসাইলের নেতিবাচক দিকও রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া মনে করে সম্পূর্ণ সফল একটি সলিড-ফুয়েল আইসিবিএম তৈরি করতে উত্তর কোরিয়া আরো সময় লাগবে।
উত্তর কোরিয়া এর আগে যেসব আন্তঃ মহাদেশীয় সলিড ফুয়েল মিসাইল বা আইসিবিএমের পরীক্ষা চালিয়েছে সেগুলোর পাল্লা ছিল অল্প দূরত্বের। অর্থাৎ সেগুলো খুব বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারতো না। কিন্তু এই প্রথম তারা দীর্ঘ পাল্লার সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো।
উত্তর কোরিয়া এর আগে বেশ কিছু আন্তঃ মহাদেশীয় অর্থাৎ এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে আঘাত করতে পারে এরকম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু সেগুলো ছিল তরল জ্বালানির।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন, তার কন্যা, স্ত্রী এবং বোনকে সাথে নিয়ে এই পরীক্ষাটির তদারকি করেছেন। খবরে বলা হচ্ছে মি. কিম বলেছেন যে এর পরীক্ষার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ‘চরম ভীতি ও উদ্বেগের মধ্যে থাকবে।’