সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেছেন। বুধবার ফ্লোরিডার নির্বাহী আদালতে তিনি এ মামলা করেন
কোহেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, চুক্তি ভঙ্গ করা, প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে নিয়ে বিভিন্ন বিবৃতি দেওয়া, বই প্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমে কথা বলার অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, মাইকেল কোহেন তার ক্লায়েন্টের স্বার্থ রক্ষায় অ্যাটর্নি হিসাবে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন। খবর- বিবিসির।
এমন এক সময়ে ট্রাম্প মামলাটি করলেন, যখন ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্রমবর্ধমান হারে কোহেনের সমালোচনা করছেন। কোহেনের মুখপাত্র এবং আইনজীবী ল্যানি ডেভিস বিবিসিকে বলেছেন, কোহেনের বিরুদ্ধে এই মামলা ব্যর্থ হবে।
২০১৮ সাল থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কোহেনের। ম্যানহাটনের একটি ফৌজদারি মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রধান সাক্ষী ছিলেন তার এই ব্যক্তিগত আইনজীবী।
কোহেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের একজন ভাইস-প্রেসিডেন্টও ছিলেন এবং প্রায়ই তাকে ট্রাম্পের ফিক্সার হিসাবে বর্ণনা করা হতো।
২০১৬ সালের নির্বাচনের পরে দুজনের সম্পর্কের অবনতি হয়। সে সময় তদন্তকারীরা ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন সহযোগীকে খুঁজতে শুরু করে। ২০১৮ সালে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পরে কোহেনকে তিন বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি এখন কারাগারের বাইরে এবং ট্রাম্পের একজন কড়া সমালোচক হয়ে উঠেছেন।