গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১১ জন নেতা। তাঁদের মধ্যে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার আজ বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় তাঁর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মাহিয়া মাহি যুবলীগ নেতা কামরুলের ছোট ভাই রকিব সরকারের স্ত্রী।
মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে দলের সবাইকে নিয়েই মাঠে নামব।’
আজ দুপুরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ফেসবুকে ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দিয়ে লেখেন, ‘ধানমন্ডিতে পার্টি অফিস যাই ভাইয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিতে।’ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর পৃথক আরেকটি পোস্টে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, জয় আমাদের হবেই ইনশা আল্লাহ।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘আমাদের মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই গাজীপুরবাসীকে হতাশ করবেন না। আগামীকাল (আজ বুধবার) সেই প্রত্যাশায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. কামরুল আহসান সরকার।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ১১ জন নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে গতকাল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। ২০১৩ সালের ভোটে আজমত উল্লা খান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির এম এ মান্নানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। পরেরবার ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পান জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে গত বছর বিতর্কিত মন্তব্য করে দল ও মেয়র পদ থেকে তিনি বরখাস্ত হন। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আসাদুর রহমান। তিনিও এবার দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
আজমত উল্লা খান ও জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে যেকোনো একজন ব্যক্তি এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দলে আলোচনা আছে। এর বাইরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানের চাচা মতিউর রহমান ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকারের নামও আলোচনায় আছেন।