সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে আবেদন শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। তাই যাঁরা এখনো আবেদন করেননি, তাঁরা দ্রুত আবেদন করতে পারেন।
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ আবেদন ফি ২২০ টাকা।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আবেদনের জন্য স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাঁরা সর্বোচ্চ বয়সসীমায় পৌঁছেছেন, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জানা যাবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপের আবেদন ২৪ মার্চ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থীদের জন্য শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটার দাবি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এবার বিভাগভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। তিন ভাগে সব বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ শেষে আগামী মে মাস থেকে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হবে। প্রথম ধাপে প্রকাশিত রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের পরীক্ষা মে মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সারা দেশের জন্য এখন পর্যন্ত অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৬৩টি বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এ পদের সংখ্যা বাড়বে। কারণ, নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে আরও শিক্ষক অবসরে যাবেন।
সরকারি প্রাথমিক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে, মেধাক্রম অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীদের দিয়ে প্রথমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ পূরণ করা হবে। মেধাতালিকার বাকি প্রার্থীদের প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে জনবল নিয়োগের জন্য সর্বশেষ ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ওই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিন ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ নিয়োগপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম দুই বছরের বেশি সময় পর শেষ হয় গত জানুয়ারিতে।