চৈত্র মাসের অর্ধেকটা চলে গেছে। চৈত্রের সেই পরিচিত দাবদাহ এবার কিন্তু খুব একটা দেখা যায়নি। মাঝে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গাসহ কয়েকটি স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। কিন্তু গত বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এর রেশ আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়ে গেছে। এতে তাপমাত্রা কমেছে।
আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে ৬৪ মিলিমিটার। দেশের অন্যত্রও বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুরে ৪২ মিলিমিটার, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২৬ মিলিমিটার, নওগাঁর বদলগাছিতে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় এ সময় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রাজধানীতে বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া।
আজ রংপুর বাদ দিয়ে দেশের বাকি সাত বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া। তিনি বলেন, রংপুরে দু-এক জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বাকি সাত বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। এ সময় দেশের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
আজ সকাল সাতটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ঢাকা ও এর আশপাশের আগামী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, রাজধানীতে আজ আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা মূলত পশ্চিমা লঘুচাপ সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে। এ সময়ের বৃষ্টির একটা বৈশিষ্ট্য হলো, এর পরিমাণ বেশি হয় না। আবার এটি দীর্ঘস্থায়ীও হয় না। বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হয়।