চেকআপ করাতে হাসপাতালে গিয়েই হুট করে ডেলিভারির জন্য ভর্তি হতে হয়েছে: মাহিয়া মাহি

0
208
মাহিয়া মাহি

অনেকটা স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে তাঁর কাছে। ঘোর যেন কাটছেই না। অনুভূতিটা এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না ঢাকাই ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহি। তিনি গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো মা হয়েছেন। মা ও ছেলে এখনো হাসপাতালেই আছেন। সুস্থ আছেন তাঁরা।

মা হওয়ার অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে বৃহস্পতিবার মাহি জানান, তিন দিন হয়ে গেল এখনো মনে হচ্ছে তিনি স্বপ্নের মধ্যে আছেন, ঘোরের মধ্যে আছেন। হাসতে হাসতে মাহি বলেন, ‘মা হওয়ার অনুভূতি ঠিক আমি বলে বুঝাতে পারব না। ঠিক কেমন যেন, মনেই হচ্ছে না আমার আর রাকিবের ঘরে নতুন অতিথি এসেছে। পাশে যখন বাচ্চাকে আনা হচ্ছে, মনে হচ্ছে এটি কে? মনের মধ্যে গোপনে গোপনে একটা অন্য রকম অনুভূতি কাজ করছে সন্তানের জন্য।’

এদিকে এখনো হাসপাতালে বাচ্চাকে মা থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তিন ঘণ্টা পরপর মায়ের পাশে কিছুক্ষণের জন্য আনা হচ্ছে বাচ্চাকে। জানা গেল, মাহির সন্তান আরও পরে জন্ম নেওয়ার কথা ছিল।

মাহিয়া মাহি

মাহিয়া মাহি 
ইনস্টাগ্রাম

তিনি বলেন, ‘আমি তো ওই দিন নিয়মিত শারীরিক চেকআপ করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। গিয়েই আচমকা ডেলিভারির জন্য ভর্তি হতে হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের এক মাস আগেই আমার সন্তান পৃথিবীতে এল। এ জন্য নিয়ম করে চিকিৎসকের পরামর্শে আমাদের দুজনকে একটু আলাদা রাখা হচ্ছে।’

মাহি আরও বলেন, ‘আলাদা করে রাখলেও তিন ঘণ্টা পরপর আমার কাছে আনা হচ্ছে। কিন্তু যখনই আনা হচ্ছে তখনই দেখি ঘুমাচ্ছে ছেলে।

মাহিয়া মাহি

মাহিয়া মাহি

আমি একটু তার সঙ্গে কথা বলব, বলতে পারছি না। কখন যে কথা বলব। হা হা হা…।’ এরই মধ্যে সন্তানের ডাকনামও ঠিক করে ফেলেছেন তাঁরা।

মাহির স্বামী রাকিব সরকার বলেন, ‘আমাদের “ফারিশতা” নামের একটা রেস্তোরাঁ আছে। ওই নাম থেকে “ত” বাদ দিয়েছি। আপাতত ছেলের ডাকনাম রেখেছি ফারিশ। পরে বাসার সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো নাম রাখা হবে।’

বাচ্চা কোলে মাহির স্বামী রাকিব সরকার

বাচ্চা কোলে মাহির স্বামী রাকিব সরকার 
ফেসবুক

কবে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরতে পারবেন—জানতে চাইলেন মাহি বলেন, ‘যেহেতু সন্তান নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৃথিবীতে এসেছে। তাই আমারও ট্রিটমেন্টও চলছে। চিকিৎসক যদি অনুমতি দেন তাহলে আগামীকাল শুক্রবার হাসপাতাল ছাড়তে পারি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.