পেলে-ম্যারাডোনার পাশে মেসির ভাস্কর্য

0
204
ছবি- টুইটার

লিওনেল মেসির হাত ধরে ৩৬ বছর পর শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। কাতারে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছুরই অর্জন করে ফেলেছেন এই মহাতারকা। এবার আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি মেসিকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ ভাস্কর্য উন্মোচন করল দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (কনমেবল)।

আজ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলকে সম্মান জানাতে কনমেবলের সদর দপ্তরে বিশেষ আয়োজন করা হয়। এতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপ হাতে মেসির ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়। মেসি নিজেই তার ভাস্কর্য উন্মোচন করেছেন। কনমেবলের সদর দপ্তরে দুই কিংবদন্তি পেলে ও ম্যারাডোনার পাশে ঠাঁই হচ্ছে মেসির এই ভাস্কর্য। যেটিতে হাস্যোজ্জ্বল মেসির হাতে শোভা পাচ্ছে বিশ্বকাপ ট্রফি।

দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে এটাই মেসির প্রথম ভাস্কর্য নয়। ২০১৬ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্সে তার ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়। দুদিন আগে এখানেই দ্বিতীয় দফায় তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ করেছে আর্জেন্টিনা। রেপ্লিকা হাতে আর্জেন্টাইনদের উচ্ছ্বাসে সেদিন মনুমেন্টালে যেন ফিরে এসেছিল লুসাইল।

কনমেবলের সদর দপ্তরে ভাস্কর্য উন্মোচনের পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এত ভালোবাসা পাচ্ছি। এটা সত্যিই অনেক বড় কিছু। আমি কখনও এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি। ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল–আমি যেটা পছন্দ করি, শুধু সেটা উপভোগ করা। একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এই জীবনটাই আমি সব সময় ভালোবেসেছি। আমি সব সময় উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। এটা জানতাম, আমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’

মেসি আরো বলেন, ‘অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।’

এদিন কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের ‘শাসক’ ঘোষণা করেছেন। মেসির হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দিয়ে কনমেবল প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের নামে আজ বিশ্ব ফুটবলের নেতৃত্ব ও শাসনভার তোমার হাতে তুলে দিলাম।’

গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জেতার আগেও আরও দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। ২০২১ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জেতার পর ইতালিকে হারিয়ে লা ফিনালিসিমা। গতকাল বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা ও ফিনালিসিমা ট্রফির রেপ্লিকাও উপহার দেওয়া হয় মেসির হাতে।

উচ্ছ্বসিত মেসিও সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ফুটবল ক্যারিয়ারে আমি সবকিছুই অর্জন করতে পেরেছি। আমার সব সতীর্থদের ধন্যবাদ, এত সুন্দর উপহার দেওয়ার জন্য। কনমেবলকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুবই বিশেষ আর দারুণ একটি মুহূর্তে কাটাচ্ছি। অনেক অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি। লাতিন আমেরিকান কোনো দেশের বিশ্বকাপ জেতার সময়ই ছিল এটা।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.