এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তিনজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পলাশ তালুকদার, শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আমিরুল ইসলাম ও বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জসিম উদ্দিন।
বিজ্ঞপ্তিতে মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারী বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস সরদার বলেন, মূল হামলাকারী হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁর তিন সহযোগীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা হামলাকারীকে উৎসাহিত করার শামিল। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে মূল হামলাকারীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জনান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বেপারী বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে হামলার ঘটনায় তিনজনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ঘটনায় যদি আরও কেউ জড়িত থাকে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও আহত আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম তালুকদার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাফিজুর রহমান ও ইদ্রিস সরদার। এ সময় হাফিজুর রহমান সংসদ সদস্যের সামনে ইদ্রিস সরদারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করলে ইদ্রিস এর প্রতিবাদ করেন। এরপর হাফিজুর তাঁকে সংসদ সদস্যের সামনেই মারধর শুরু করেন।