পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণ সাহা রাজেন্দ্রপুর-কাপাসিয়া সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় আক্তারুজ্জামানের প্রাইভেট কারটি একই দিকে যাচ্ছিল। ধলাদিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে গাড়িটি নারায়ণ সাহাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান ওই গাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। আক্তারুজ্জামানও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী ফজলুল হক বলেন, ধলাদিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে প্রাইভেট কারটি নারায়ণ সাহাকে চাপা দেয়। এতে নারায়ণ সাহা গুরুতর আহত হন। পরে নারায়ণ সাহাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করার কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যান তিনি। দুর্ঘটনার পরপরই প্রাইভেট কারের চালক পালিয়ে গেছেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামানের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তি কল ধরেন। তিনি নিজেকে আক্তারুজ্জামানের ভাগিনা বলে পরিচয় দেন। মাসুদ নামের ওই ব্যক্তি বলেন, দুর্ঘটনায় তাঁর মামা (আক্তারুজ্জামান) বুকে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। রাজধানীর উত্তরার হাই কেয়ার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে গাড়িচালক কোথায় আছেন, সেটা তিনি জানেন না।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবীর হোসেন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আক্তারুজ্জামানের কারের চাপায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গাড়িটি জব্দ করা হলেও এর চালককে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে অবস্থান করা ওই আওয়ামী লীগ নেতা নিজেও আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।