নেইমার-সিলভার না থাকা
বিশ্বকাপ থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর ব্রাজিলের তরুণ দলকে উজ্জীবিত করতে পারত নেইমার-থিয়াগো সিলভাদের মতো শীর্ষ তারকাদের উপস্থিতি। কিন্তু চোটের কারণে নেইমারকে এ ম্যাচে পায়নি ব্রাজিল। ছিলেন না অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভাও। তাঁদের না থাকা দলের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরানোর পাশাপাশি পারফরম্যান্সের গ্রাফকেও নিচের দিকে নামিয়েছে। আক্রমণভাগে নেইমারের অনুপস্থিতি ছিল স্পষ্ট। আর রক্ষণে ভুগিয়েছে সিলভার মতো অভিজ্ঞ কারও না থাকা।
তরুণরা জ্বলে উঠতে না পারা
মরক্কোর বিপক্ষে এ ম্যাচে পাঁচ তরুণ ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে ব্রাজিল দলে। কিন্তু এই তরুণেরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবও ছিল স্পষ্ট। এ ম্যাচে চোখ ছিল পালমেইরাসের তরুণ ফরোয়ার্ড রনির ওপর।
কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু ঝলক দেখা গেলেও সেভাবে মন ভরাতে পারেননি ২৭ বছর বয়সী রনি। রাইটব্যাক হিসেবে খেলা এমারসন রয়্যালও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। সোফিয়ান বুফালের গোলটিতেও নিজের কাজটা ঠিকঠাক পালন করতে পারেননি এমারসন। ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোসও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। সব মিলিয়ে তরুণদের ব্যর্থতা ব্রাজিলের হারের অন্যতম কারণ।
আত্মবিশ্বাসী মরক্কো
বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছিল মরক্কো। সবাইকে চমকে দিয়ে আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে খেলেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও। নিজেদের সেই আত্মবিশ্বাস ব্রাজিলের বিপক্ষেও ফিরিয়ে এনেছে তারা। আক্রমণে যাওয়া কিংবা রক্ষণ সামলানো—দুই জায়গাতেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে মরক্কো। আর মরক্কোর এই আত্মবিশ্বাসী ফুটবলও বাড়তি চাপে ফেলেছে ব্রাজিলকে, যে চাপ শেষ পর্যন্ত জয় করতে পারেনি তারা।