কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণায় ভারতজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিক্ততা ভুলে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘যেখানে অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপির নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন, সেখানে বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার অপরাধে। এ ঘটনায় আজ গণতন্ত্র নতুন নীচতায় নামল।’ খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশগত নামের পদবি নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে মানহানির মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের আদালত। চার বছর আগে মামলাটি করেন বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি। ‘সব চোরের নামের পদবি মোদি হয় কী করে?– মন্তব্যের জেরে রাহুলের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। সাজা হওয়ার পরই রাহুলের সংসদ সদস্য পদ হারানো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।
কর্ণাটকের ওয়েনাদ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাহুল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যটির কোলারে এক জনসভায় পলাতক ব্যবসায়ী নিরব মোদি ও ললিত মোদির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নামের মিল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এ মন্তব্য করেছিলেন।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশগত নামের পদবি নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে মানহানির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ভারতের পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের এক নোটিসে রাহুল গান্ধীর সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।