চরিত্রটি কতটা চ্যালেঞ্জিং? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পরিচালক রাফীর সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। আমি সব সময় চেষ্টা করি, পরিচালকের সঙ্গে আরাম করে কাজ করতে। এ জন্য আমরা অনেক আলোচনা করে জেনে-বুঝে কাজটা করেছি।’ নিশো জানান, ‘এখনো দুই পর্যায়ের শুটিং বাকি আছে। যে পরিশ্রম করছি, সেটা দর্শক আমাদের কাজে দেখতে পাবেন।’
ওটিটিতে আলোচিত অভিনেত্রীদের একজন এখন তমা মির্জা। সুড়ঙ্গর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক বছর পর এ রকম কষ্ট করে শুটিং করেছি। শুধু আমি নই, পুরো টিম শুটিংটা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করেছে। তারপরও শান্তির জায়গা একটাই যে আমরা যতটুকু শুট করেছি, তাতে কোনো কম্প্রোমাইজ করিনি। যা–ই হোক না কেন, দিন শেষে কাজটা যে ভালো হচ্ছে, এটাই আমাদের পাওয়া।’
নিশোর সঙ্গে কাজ করে কেমন লেগেছে, জানতে চাইলে তমা মির্জা বলেন, ‘এই সিনেমায় আমার চরিত্রটা একটু ট্রিকি। পরিচালক রাফীর সঙ্গে আমার আগে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। তিনি খুবই হেল্পফুল। নিশো ভাইয়ের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। তিনি আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন, তিনি আমার কাজটাকে আরও সহজ করে দিয়েছেন।’
পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘“সুড়ঙ্গ” সিনেমার প্রথম কিস্তির শুটিং শেষ করেছি। এই কিস্তিতে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল লোকেশন। একদম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুট। সেখানে বছরের অর্ধেক সময় পানি থাকে, বাকি সময় মাটি। সেখানে সেট বানানো, শুট করা পুরো ব্যাপারটাই ছিল কষ্টের। প্রায় ২০০ জনের টিম নিয়ে সেখানে কাজ করাটা আমার জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। এখন আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের শুটিং শুরু করব। এবারের শুটিং আমাদের জন্য আরও কঠিন হবে।’