স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই মাহফিলে যাওয়ার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ইন্দ্রকুল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. মারুফ, মো. সিয়াম, মো. এনামুল ও মো. নাফিসের সঙ্গে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান কাজী, মো. হাসিবুল কাজী, মো. সৈকত ও মো. নাইমের কথা–কাটাকাটি হয়।
আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হলে মারুফ, সিয়াম, এনামুল ও নাফিস বাড়ি ফিরছিল। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাঙ্গাশিয়া সেতুর কাছে পৌঁছালে ওয়াজ মাহফিলের সময় ঘটা ঘটনার জের ধরে রায়হান ও হাসিবুলসহ কয়েক শিক্ষার্থী মারুফ, সিয়াম, এনামুল ও নাফিসের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সিয়াম, এনামুল ও নাফিসকে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মারুফ ও নাফিজকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই দুজনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ইন্দ্রকুল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কথা বলার মতো আমার ভাষা জানা নাই।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। আসল রহস্য বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’