আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক এক কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজনের কথা আমরা খতিয়ে দেখছি। উপযুক্ত সময়ে আমরা তা আপনাদের জানাব।’
আইজিপি আরও বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটু আগে আমার কাছে খবর এসেছে ইন্টারপোল এটি গ্রহণ করেছে। এখন বাকি কাজ তারা করবে।
নায়িকা মাহিয়া মাহি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি জামিন পেয়েছেন। আমি এটা বলতে পারি কারও প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা সবাই মিলে দায়িত্বপালন করছি। পুলিশ, জেলা পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসন সকলে মিলে কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী যেসব কাজ করছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন নয় যে তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারে অপহরণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যত ঘটনা ঘটেছে প্রতিটি ঘটনায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেছি। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত বুধবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন করেন আরাভ খান। উদ্বোধন উপলক্ষে ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয় বাজপাখির আদলে লোগো, যা তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের অনেক তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন আরাভ খান। তখনই তাঁকে শনাক্ত করে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
পরে পুলিশ জানায়, আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন রবিউল।’
ডিবি বলছে, দেশ থেকে পালিয়ে রবিউল ইসলাম প্রথমে ভারতে যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাইয়ে চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় সোনা ব্যবসায়ী।