মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুরে ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহতের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসকের গঠন করা তদন্ত কমিটি।
মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরার নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য হলেন- মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির (পিপিএম), বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ হাসানাত-ই-রাব্বি ও মাদারীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হোসেন। এ ছাড়াও বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দল তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। কমিটি প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় দোকানদারসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও কমিটির দুর্ঘটনাকবলিত বাস, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
এর আগে দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক।
তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব হাজরা বলেন, তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের প্রতিবেদন জমা দেব।
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর পদ্মাসেতুর অদূরে এক্সপ্রেসওয়েতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস এক পথচারীকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ১৪ জন। এর পরে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও ৬ জন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা পিপলু আমেদ বলেন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে যাত্রী বেশি ছিল বাসটিতে। এ ছাড়া বাসটির ফিটনেস ছিল না সড়কে চলাচলের জন্য। গত বছরের নভেম্বর মাসেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বাসটি। সে ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়। নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহদের ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এ দিকে দুর্ঘটনার ঘটনায় বাসটির মালিক সৌদি প্রবাসী সাব্বির হোসেনকে প্রধান আসামি করে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাত ২টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন শিবচর থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার।