সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস ছিল গতকাল রোববার। সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দুপুরের পর ছিপ ছিপ করে ঝরেছে বৃষ্টি। অল্প বৃষ্টিতেও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি, তাতেও চলতি বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টি বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন বৃষ্টিতে কমেছে ধুলাবালি। এতে সাময়িক স্বস্তি ফিরে এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মেঘ-বাদলার আবহাওয়া আরও অন্তত তিন দিন রাজধানীসহ সারাদেশে থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় নেত্রকোনায় ৮২ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে। সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর আশঙ্কা। এ সময় দিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতে সামান্য কমতে পারে। এরপর সপ্তাহের শেষে আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। তাই হঠাৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এখন যেভাবে হচ্ছে সেটা আরও দু-এক দিন থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।