বাফুফে ভবনের সম্মেলনকক্ষে পর্যায়ক্রমে ঢুকতে লাগলেন অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফের পাঁচ দেশের অধিনায়ক ও কোচ। আজ দুপুরে চতুর্থ দল হিসেবে যখন রাশিয়ার কোচ এলেনা মেদভেদ ও অধিনায়ক এলেনা গোলিক সম্মেলনকক্ষে ঢুকলেন, সঙ্গে রইলেন রাশিয়া থেকে আসা একজন নারী দোভাষী।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আগামীকাল শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২২ মার্চ শুরু হবে রাশিয়ার দক্ষিণ এশিয়া অভিযান।
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা করার কয়েক দিন পরই রাশিয়ার জাতীয় দলকে সব রকমের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা ও উয়েফা। কিন্তু বয়সভিত্তিক দলের সেই নিষেধাজ্ঞা নেই। অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ টুর্নামেন্টটা হচ্ছে মূলত উয়েফার ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির আওতায়। রাশিয়াও এখানে খেলছে উয়েফার উদ্যোগে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সেই প্রশ্ন শুরুতেই থামিয়ে দেন সাফের মিডিয়া ম্যানেজার আয়ুশ খাড়কা। উয়েফা যেহেতু রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে, তাহলে সে দেশের ফুটবল কীভাবে চলছে? প্রশ্নটা করতেই কোচ ও ফুটবলার একে অপরের মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। আর দোভাষী জানিয়ে দেন, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহী নন ফুটবলাররা।
তবে বাংলাদেশে খেলতে এসে উচ্ছ্বসিত রাশিয়ান মেয়েরা। তাঁদের হয়ে কোচ এলেনা মেদভেদ বললেন, ‘এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের দলের জন্য উপভোগ্য একটা টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। এশিয়া অঞ্চলে কখনোই আমরা অংশ নিইনি। এমন টুর্নামেন্টের জন্য আমরা অপেক্ষায় ছিলাম।’
ইউরোপ ও এশিয়ার কন্ডিশন ভিন্ন। ঢাকায় এসে সেই চ্যালেঞ্জও নিতে চান কোচ, ‘ইউরোপ এবং এশিয়ার আবহাওয়ায় পার্থক্য আছে। এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের তুলনা করা ঠিক হবে না। কারণ, ইউরোপ ও এশিয়ার ফুটবলাররা ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে খেলেন। বলতে পারি যে এই দেশে প্রচুর মানুষ এবং এখানে অনেক ট্রাফিক জ্যাম। সত্যি বলতে কি, সময় মেনে অনুশীলনে যাওয়া এবং ম্যাচে অংশ নেওয়াই আমাদের এখন আসল কাজ।’
দুই মাস আগে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণপত্র পায় রাশিয়া। এরপর তুরস্কে অনুশীলন ক্যাম্প করে দলটি। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে রাশিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মেয়েরা বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন। তবে বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল সম্পর্কেই নাকি তেমন কোনো ধারণা নেই রাশিয়ার কোচ মেদভেদের, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা নেই। বাংলাদেশ দল সম্পর্কেও কিছু বলা খুবই কঠিন। কারণ এই দল সম্পর্কেও আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা শুধু দুই-তিন বছর আগে ভারতের সঙ্গে একবার খেলেছিলাম।’
শিরোপাতেই চোখ রাখছেন রাশিয়ার কোচ, ‘অবশ্যই আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে এখানে এসেছি। শিরোপা জিতেই রাশিয়ায় যেতে চাই আমরা।’