শিক্ষার্থীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সাবেক অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে শুধু টাকাকে বিবেচনায় না নিয়ে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতে হবে।’
সমাবর্তন বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহব্যঞ্জক নানা কথা বলেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে গিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নব আনন্দে জাগো আজি নব রবিকিরণে, শুভ্র সুন্দর প্রীতি-উজ্জ্বল নির্মল জীবনে’ গানটি গেয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, সাধারণত দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী চাকরির পেছনে ছোটেন। শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও আদর্শ সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরির পরিবেশ সৃষ্টিতে অভিভাবকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, আইইউবিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই নারী শিক্ষার্থীরা পুরুষ শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করছেন। এবারের সমাবর্তনে আচার্যের স্বর্ণ পদক পাওয়া তিন শিক্ষার্থীই নারী। আইইউবিকে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, নারী শিক্ষার্থীদের সাফল্য তারই ফল।
সমাবর্তনে আরও বক্তব্য দেন আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, আইইউবির সহ–উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান, এডুকেশন সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সালমা করিম (তিনি ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন), কৃতী শিক্ষার্থী এ্যান্ড্রিয়ানা বাশার।
সমাবর্তনে ১ হাজার ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪০ জন স্নাতক ও ৩১৯ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। এবার কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে পদক পান এ্যান্ড্রিয়ানা বাশার, অপ্সরা আহসান, সানজিদা আফরিন, সোবাইতা ফাইরোজ, আলাভী কিফায়াত রেজা, অভিজিত সাহা।
শিক্ষায় স্বীকৃতির পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সফল কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও সম্মাননা দেওয়া হয়।