নতুন সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, শিল্পী হিসেবে নিজস্ব চিন্তাধারা, ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা– এসব আলোচনাই প্রাধান্য পেয়েছে তাপসীর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। কিন্তু এবার অভিনয় জগৎ নয়, তাপসী শোনালেন ভয়াবহ এক দাঙ্গার গল্প, যার সাক্ষী হয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তাপসী জানিয়েছেন, দাঙ্গার ঘটনাটি ১৯৮৪ সালের, যার সূত্রপাত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে। পরিবারের সদস্যদের কাছে শুনেছেন– ভয়াবহ কিছু ঘটতে যাচ্ছে জেনে কতটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। কারণ, দাঙ্গাকারীদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র আর বোমা।
তারা বাছাই করে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। তখনও তাঁর বাবা-মায়ের বিয়ে হয়নি। পূর্ব দিল্লিতে যেখানে তাঁর মায়ের পরিবার থাকত, সেখানে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু বাবার বাড়ি যে এলাকায়, সেই শক্তিনগরের চিত্রটা ছিল ভয়াবহ।
প্রাণভয়ে পালাতে শুরু করেছিলেন সংখ্যালঘু শিখরা। তাঁর বাবার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে বাড়িতেও আক্রমণ করতে এসেছিল দাঙ্গাকারীরা। কিন্তু প্রতিবেশীরা যখন জানিয়েছিলেন বাড়িতে কেউ নেই এবং প্রতিটি ঘরের বাতিও নেভানো, তখনই দাঙ্গাকারীরা ফিরে গিয়েছিল।
দাঙ্গার সেই গল্প শুনিয়ে তাপসী সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁদের মতো যাঁরা সংখ্যালঘু, সেসব মানুষের প্রতি অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য। কারণ সংখ্যালঘু হলেও তাঁরা ভারতের নাগরিক।