বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা

0
219
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বাঙালি, বাঙালিত্বের নির্যাসে যুক্ত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অমোঘ উচ্চারণ– ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।’ এই উচ্চারণের সঙ্গে তিনি বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় বাঙালিকে উজ্জীবিত করে  বাঙালিত্বের গৌরবকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

হাজার বছরের বেশি সময় ধরে এই ভূখণ্ড নানা নামে পরিচিত হয়েছিল। বলা হতো, বঙ্গ-পুন্ড্র-সুহ্ম-গঙ্গাঋদ্ধি-বজ্রভূমি-বরেন্দ্র-প্রাক-জ্যোতিষপুর-সমতট-হরিকেল-তাম্রলিপ্ত চন্দ্রদ্বীপ-রাঢ়, গৌড়-বাগঢ়ী ইত্যাদি নাম ছিল বিভিন্ন অঞ্চলের।

বাঙালির পরিচয় খুঁটিয়ে দেখার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তবে এটা সত্য, সে সময়ের পূর্ববঙ্গ আজকের বাংলাদেশ। যে বাঙালি সংকর জাতি হিসেবে অবজ্ঞাত ছিল, তার পরিচয়ের দৃঢ়তা প্রতিষ্ঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ‘আজ আমি বলতে পারি, আমি বাঙালি। আজ আমি বলতে পারি, বাঙালি একটি জাতি। আজ আমি বলতে পারি, বাংলার মাটি আমার মাটি। এর বেশি তো আমি চাই নাই।’ প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ নীহাররঞ্জন রায় তাঁর ‘বাঙালীর ইতিহাস : আদি পর্ব’ গ্রন্থে বলেছেন : ‘গৌড় নাম লইয়া বাংলার সমস্ত জনপদগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করিবার যে চেষ্টা শশাঙ্ক, পাল ও সেন রাজারা করিয়াছিলেন– সে চেষ্টা সার্থক হয় নাই। সেই সৌভাগ্য লাভ ঘটিল বঙ্গ নামের, যে বঙ্গ ছিল আর্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক হইতে ঘৃণিত ও অবজ্ঞাত, এবং যে বঙ্গ-নাম ছিল পাল ও সেন রাজাদের কাছে কম গৌরব ও আদরের। কিন্তু, সমগ্র বাংলাদেশের বঙ্গ-নাম লইয়া ঐক্যবদ্ধ হওয়া হিন্দু আমলে ঘটে নাই; তাহা ঘটিল তথাকথিত পাঠান আমলে এবং পূর্ণ পরিণতি পাইল আকবরের আমলে, যখন সমস্ত বাংলাদেশ সুবা বাংলা নামে পরিচিত হইল। ইংরাজ আমলে বাংলা নাম পূর্ণতর পরিচয় ও প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে, যদিও আজিকার বাংলাদেশ আকবরী সুবা বাংলা অপেক্ষা খর্বীকৃত।’

বিশ্বজুড়ে বাংলার যে পরিচিতি, সেই অর্থে এই ভূখণ্ডকে শুধু ভৌগোলিক আকারে খর্বীকৃত বলার সুযোগ নেই। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ সময় ধরে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের অপেক্ষায় সময়ের পরিসর অতিক্রম করেছে। তিনিই উপমহাদেশের একমাত্র নেতা, যিনি উপমহাদেশের মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সংযোজন ঘটিয়েছেন। সাড়ে সাত কোটি বাঙালি এই অর্জনে নিজেদের নিবেদন করেছেন বীরদর্পে। মানুষের ভালোবাসার অবিস্মরণীয় চেতনাবোধে সিক্ত হয়েছে তাঁর নেতৃত্বের দৃঢ়তা। বিশ্বের অনেক নেতা যেভাবে ইতিহাসের পৃষ্ঠায় আছেন অজেয় প্রেরণায়, তেমনি বঙ্গবন্ধু আছেন। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি পরিচয়ের মুগ্ধতা নিয়ে বলেন, ‘আমার হিমালয় দেখা হয়নি, কিন্তু আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্বে এই মানুষটিই হিমালয়সম। এতেই আমার হিমালয় দেখা হলো।’ এভাবে বাংলাদেশ নামের ছোট ভূখণ্ড বিশ্বের সামনে বিশাল হয়ে উঠেছিল। শুধু ভৌগোলিক আকারের খর্বতা কাটিয়ে উচ্চতার শীর্ষে ওঠার যে দিকনির্দেশনা, বঙ্গবন্ধু সেই অসাধ্য কাজটি পূর্ণ করেছিলেন। বিশ্বের অন্য অনেক নেতার মতো তিনি দেশের পরিচিতি বিস্তৃত করেছিলেন। নেলসন ম্যান্ডেলার নামের সঙ্গে যুক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা, হো চি মিনের নামের সঙ্গে ভিয়েতনাম, সুকর্ণের নামের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া, মিসরের সঙ্গে কর্নেল নাসের, প্যালেস্টাইনের সঙ্গে ইয়াসির আরাফাত এমন আরও অনেকে। তেমনি বাংলাদেশের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নাম উচ্চারণ না করে বাঙালির আত্মপরিচয় কখনও পূর্ণ হবে না।

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পরে নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের অংশ হয় ইতিহাসের বঙ্গের পূর্বাঞ্চল পূর্ব পাকিস্তান। বঙ্গবন্ধু তাঁর জাতিসত্তার দর্শনের জায়গা থেকে পাকিস্তান গণপরিষদে পূর্ব পাকিস্তানকে পূর্ব বাংলা বলার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। ১৯৫৫ সালের ২৫ আগস্ট তিনি গণপরিষদে বলেন, “স্পিকার মহোদয়, সরকার পূর্ব বাংলার নাম বদল করেছে পূর্ব পাকিস্তান। ‘বাংলা’ নাম ব্যবহার করার জন্য আমরা দাবি জানাই। বাংলা নামের ইতিহাস আছে, তার ঐতিহ্য আছে। এই নাম পরিবর্তন করতে হলে বাংলার মানুষকে জিজ্ঞেস করতে হবে। নাম বদল করার জন্য তারা রাজি আছে কিনা, তা তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।” নিজ আইডেন্টিটির পরিচয় হিসেবে বাংলা শুধু শব্দমাত্র ছিল না, ছিল জীবনদর্শনসহ জাতিসত্তার পরিচয়। মানুষ হিসেবে পরিচয়ের পরে প্রত্যেক মানুষকে জাতিসত্তা নিয়ে বেঁচে থাকার সত্য ধারণ করতে হয়। তিনি এই বিশ্বাস প্রত্যেক বাঙালির রন্ধ্রে ঢুকিয়েছেন। এভাবে নিজের জাতিসত্তার অধিকারের প্রশ্নে তিনি অনড় ছিলেন। কোথাও সামান্যতম আপস করেননি।

বাঙালির বিত্তবৈভবকে তিনি লালন করেছেন নিজের আত্মপরিচয়ের সবটুকু জায়গাজুড়ে। বাঙালির এই পথপরিক্রমাকে প্রখ্যাত সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মূল্যায়ন করেছেন সৃজনশীল মাত্রায়, “পরাধীন বাংলায় তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী থেকে ক্রমান্বয়ে হয়ে ওঠেন সকলের প্রিয় ‘মুজিব ভাই’, জনগণের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত হয়ে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন। রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করল তার শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করলেন ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, যার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার চিরকালীন বিকাশের অর্গল খুলে গেল, বাঙালি জাতিসত্তা একটি রাষ্ট্রভাবনায় পরিণত হলো। খুব কাছ থেকে তাঁকে যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা বলতে পারবেন, এই মানুষটির বিরাটত্ব কোথায় লুকিয়ে ছিল। সাধারণ মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে তাঁদের সাথে মিশে যেতে পারতেন তাঁদের দুঃখ-সুখের সাথি হয়ে। বিচক্ষণতার সাথে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে ‘বাঙালিত্ব’ বিষয়টি মূর্তিমান হয়ে রয়েছে তাঁর ব্যবহারে, খাদ্যাভ্যাসে, পোশাকে। সবচেয়ে বেশি করে তাঁর মননে, চিন্তনে, আবেগ-অনুভূতির অনুরণনে। সে জন্যই ছাত্রসমাজ তাঁকে গ্রহণ করল ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে, এ নামেই শেষ পর্যন্ত পরিণত হলো সমগ্র জাতির সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের সেতুবন্ধন।”

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে দেশে ফিরে রমনা রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন : “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী,/ রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ কর নি।’ কিন্তু আজ আর কবিগুরুর সে কথা খাটে না। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছে, বাঙালি বীরের জাতি। তারা নিজেদের অধিকার অর্জন করে মানুষের মতো বাঁচতে জানে।” তাঁর জীবনদর্শন থেকে এই কথা উচ্চারিত হয়েছে– এই রাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ থাকবে না। এই রাষ্ট্র মানুষের হবে। তাদের মূলমন্ত্র হবে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান বাংলাদেশে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরা সকলেই এদেশের নাগরিক। সকল ক্ষেত্রে তাঁরা সমঅধিকার ভোগ করবেন।’ এভাবে বাঙালির মর্যাদার স্থান প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে ইতিহাসের গৌড়, বঙ্গকে বাংলাদেশ করে বিশ্বের সামনে বাঙালির পরিচয়কে সার্বভৌমের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করলেন সার্বভৌম শেখ মুজিবুর রহমান।

এই সূত্র ধরে উল্লেখ করতে হয় বাংলা সাহিত্য বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর মননশীল চিন্তা। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিক থেকে আমরা দরিদ্র নই। আমাদের ভাষার দু’হাজার বছরের একটি গৌরবময় ইতিহাস আছে। আমাদের সাহিত্যের ভান্ডার সমৃদ্ধ। আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর। আজকে স্বাধীন জাতি বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মর্যাদাকে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন: ‘আমি সাহিত্যিক নই, শিল্পী নই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণই সব সাহিত্য ও শিল্পের উৎস। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনোভাবে কোনো মহৎ সাহিত্য বা উন্নত শিল্পকর্ম সৃষ্টি হতে পারে না। আমি সারাজীবন জনগণকে সাথে নিয়ে সংগ্রাম করেছি, এখনও করছি, ভবিষ্যতে যা কিছু করব জনগণকে নিয়েই করব। সুধী বন্ধুরা, আপনাদের কাছে আমার আবেদন– আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি যেন শুধু শহরের পাকা দালানেই আবদ্ধ হয়ে না থাকে। বাংলাদেশের গ্রাম-গ্রামান্তরের কোটি কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দনও তাতে প্রতিফলিত হয়। আজকের সাহিত্য সম্মেলনে যদি এসবের সঠিক মূল্যায়ন হয় তবে আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হব।’

বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে নিজের দেশের শিল্পসাহিত্যকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। সেই সময় তিনি পাননি। সেই সময় তিনি পেলে আজকে বাংলাদেশের শিল্পসাহিত্য বিদেশে যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারত।

তাঁর মৃত্যুদিবস শারীরিক মৃত্যুর সত্য। ইতিহাসে তিনি মৃত্যুহীন অমর মানুষ। তাঁর জন্ম না হলে বাঙালির হাজার বছরের উপেক্ষার জায়গাটি প্রশমিত হতো না। বাঙালি বিশ্বজুড়ে বাঙালি হয়ে উঠতে পারত না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুহীন জন্মদিন বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সুনির্দিষ্ট বাঁকবদলের ইতিহাস। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম। বাংলাদেশ আজ ইতিহাসের ‘খর্বীকৃত’ ভূখণ্ড নয়। বিশ্বের মানচিত্রে অবিনাশী নাম– উচ্চতায় বিশ্ববাসীর সামনে মাথা তুলেছে।

বিশ্বের সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সঙ্গে তিনি বাঙালি জাতিকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছেন। এই প্রতিশ্রুতি থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতন-নিপীড়ন-গণহত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বাঙালির এগিয়ে চলার পথপ্রদর্শক হিসেবে অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানবতার বার্তাটি ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষের সামনে থেকে মুছে দেননি। এখানেই বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘের ভাষণের পূর্ণতর রূপ উঠে এসেছে। বিশ্ব তাকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের দিকে।

তাঁকে বাংলাদেশের সাহিত্যে অনবরত স্মরণ করেছেন দেশের লেখকবৃন্দ। শিশুসাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খানের একটি কবিতার নাম ‘মুজিব’। উদ্ধৃতি :
সবুজ শ্যামল বনভূমি মাঠ নদীতীর বালুচর
সবখানে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঘর।
সোনার দেশের মাঠে মাঠে ফলে সোনাধান রাশি রাশি
ফসলের হাসি দেখে মনে হয় শেখ মুজিবের হাসি।
শিশুর মধুর হাসিতে যখন ভরে বাঙালির ঘর,
মনে হয় যেন শিশু হয়ে হাসে চিরশিশু মুজিবর।
আমরা বাঙালি যতদিন বেঁচে রইব এ বাংলায়
স্বাধীন বাংলা ডাকবে : মুজিব আয় ঘরে ফিরে আয়।
তিনি বাঙালির জীবনে হিরণ্ময় জ্যোতি। ইতিহাসের পাতায় তাঁর অবস্থান বঙ্গ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের বাস্তবতা। সংকর বাঙালি তাঁর নেতৃত্বে আজ জাতিসত্তার মর্যাদায় আসীন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.