তিতাসের গ্যাসলাইন যেন ওত পাতা বিপদ

0
226

পুরোনো লাইনের পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ, আছে নিম্নমানের পাইপের ব্যবহার। রক্ষণাবেক্ষণেরও নেই ঠিক। অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলে বছরজুড়ে। সব মিলিয়ে তিতাসের গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক বিপৎসংকুল। যেন ‘তাসের ঘর’। জীর্ণ লাইনের পাইপ ফেটে গ্যাস বেরিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। নিভে যাচ্ছে মানব প্রাণ। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গেল পাঁচ বছরে তিতাসের আওতাধীন এলাকায় গ্যাস পাইপলাইনজনিত ১৪ দুর্ঘটনায় ৫৮ জনের জীবন গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিতাসের তদারকি না থাকায় রাজধানী ও আশপাশের গ্যাস বিতরণ লাইন হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ। পাইপলাইনের লিকেজের বিষয়ে জানানো হলেও সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। যদিও তিতাসের দাবি, অভিযোগ পেলে লাইন সংস্কার করা হয়।

গত সপ্তাহে রাজধানীতে ঘটে দুটি বড় বিস্ফোরণ। তদন্ত সংস্থাগুলোর দাবি, জমে থাকা গ্যাস থেকে ঘটেছিল ওই বিস্ফোরণ। যদিও তিতাস এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁদের তদন্ত দল সিদ্দিকবাজারের ঘটনাস্থলে কোনো গ্যাস লিকেজের আলামত পায়নি। সায়েন্স ল্যাবের ঘটনাও গ্যাস লিকেজ থেকে নয় বলে দাবি করেন তিতাস এমডি।

জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনাকে বলা যেতে পারে তিতাসের লোভের বলি। সংস্থাটির ওপর-নিচের অনেকেই দুর্নীতিতে জড়িত। যতই ঝুঁকিপূর্ণ হোক না কেন, ঘুষ দিলেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ মেলে। জরাজীর্ণ লাইন মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। সবার নজর শুধু অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে টাকা কামানোয়। ফলে রাজধানীর গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।

যেভাবে দুর্ঘটনা: সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাকৃতিক গ্যাসের অন্যতম উপাদান মিথেন। কক্ষে আবদ্ধ গ্যাস বৈদ্যুতিক স্পার্ক বা আগুনের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরিত হয়। বাসাবাড়ির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভবনের ভেতরে গ্যাস জমা হতে পারে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের পাথরঘাটার একটি বহুতল ভবনের ভেতরের পাইপলাইনের মরিচা ধরা অংশ লিকেজ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মারা যান সাতজন। বিতরণ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের মধ্য দিয়ে গ্যাস বদ্ধ কোনো স্থানে জমতে পারে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তদন্ত বলছে, ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই ঢাকার মগবাজার মোড়ে একটি খাবারের বেসিনের পাইপ ফুটপাতের ড্রেনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ড্রেনে থাকা পাইপলাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস বেসিনের পাইপ দিয়ে বদ্ধ ঘরে জমা হয়। লাইটের সুইচ দেওয়ার সময় আগুনের স্পর্শে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে তিনজন আহত হন। গ্যাসের চুলা ঠিকমতো বন্ধ না করলে বা ত্রুটিপূর্ণ সুইচ থেকে বদ্ধ ঘরে গ্যাস জমে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালে ঢাকার লালমাটিয়ার একটি আবাসিক ভবনে এমন ঘটনা ঘটে। চুলা ঠিকমতো বন্ধ না করা কিংবা পুরোনো সুইচের কারণে গ্যাস লিকেজ করে আবদ্ধ কক্ষে জমা হয়। জ্বলন্ত মোমবাতি নিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশের সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

নগরজুড়ে লিকেজ: তিতাসের ২০২১-২২ বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকা মহানগর এবং কেরানীগঞ্জের ১ হাজার ৬৮২.৪ কিলোমিটার পাইপলাইন নিরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৯২৬টি মিথেনের উৎস চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ৪৫৯টি স্থান লিকেজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে এসব লিকেজ সংস্কার করা হয়।

লিকেজের কারণ: তিতাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পাইপগুলো মাটির নিচে দেওয়ার সময় মরিচা নিরোধক কালো প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হয়। আবরণ ছাড়া মাটির নিচে পাইপ স্থাপন করলে মরিচা ধরে লিকেজ হতে পারে। অনেক সময় পাইপের মানের ওপরও লিকেজ হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। তিনি জানান, তিতাস মূলত চীন থেকে পাইপ কিনে আনে। চীনের পাইপ অন্য দেশের চেয়ে সস্তা। অনেক ক্ষেত্রেই এর মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এর পর কোরিয়া থেকে আমদানির চিন্তা করা হলেও পরে দাম বেশি বলে বিষয়টি আর এগোয়নি। তিনি বলেন, বেশিরভাগ পাইপ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণেও লিকেজ হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন সেবা সংস্থার সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও তিতাসের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ সালের ১০ জুন ঢাকার শনির আখড়ায় একটি ভবনের পাশের রাস্তা নির্মাণের সময় যন্ত্রপাতির আঘাতে পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে গ্যাস লিকেজ হয়ে স্যুয়ারেজের লাইনের মাধ্যমে বাথরুম হয়ে ওই ভবনে থাকা ব্যাংকের শাখায় জমা হয়। এসি থাকায় ব্যাংকের সব দরজা-জানালা বন্ধ থাকত। ঈদের ছুটিতে পুরো ব্যাংকে গ্যাসে ভরে যায়। যা বৈদ্যুতিক স্পার্কের সংস্পর্শে বিস্ফোরিত হয়।

কত পুরোনো তিতাসের লাইন: ঢাকা বিভাগে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত তিতাস গ্যাসের ১২ হাজার ২৫৩ কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় আছে ৭ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইন। এর ৬০ শতাংশ অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে ২০ থেকে ৪০ বছরের পুরোনো বিতরণ পাইপলাইনও আছে। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লাইন পাল্টানো হলেও ধারাবাহিক রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম তেমন একটা নেই।

জানা গেছে, ১৯৬৭-৬৮ সালে ডেমরা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ১২ ইঞ্চি এবং ডেমরা থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত ১৪ ইঞ্চি ও ১০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়। এর পর সেখান থেকে ২ ইঞ্চি থেকে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের বিতরণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করে গ্রাহকদের বাসাবাড়ি ও কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। ৮০ এবং ৯০ দশকে ঢাকা ও এর আশপাশে পাইপলাইনের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়। ২০০০ সালের পর থেকে লাইনের সম্প্রসারণ কমে যায়। সংশ্লিষ্টদের মতে, তিতাসের বিতরণ নেটওয়ার্কের অধিকাংশ পাইপলাইনের মেয়াদ প্রায় ফুরিয়ে গেছে।

নজর কম: বিশ্লেষকদের মতে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের ভবনগুলো। বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় এদিকে সরকারের নজরও কম। ২০১৫ সালের পর থেকে নতুন পাইপলাইন স্থাপন বন্ধ। বিতরণ এলাকার অধিকাংশ পাইপলাইন ২০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো হলেও প্রতি বছর মাত্র কয়েক কিলোমিটার লাইন প্রতিস্থাপন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এসব সংস্কার কার্যক্রমের অধিকাংশই হয় তদবিরকারী ও প্রভাবশালীদের এলাকায়। বিতরণ পাইপলাইন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। কারণ এ খাতে নামমাত্র অর্থ খরচ করে তিতাস, যেখানে কোম্পানিটি গ্যাস বিক্রি করে প্রতি বছর কয়েকশ কোটি টাকা লাভ করে। ২০২১-২২ অর্থবছরে তিতাসের নিট লাভ ছিল ৩১৮ কোটি টাকা। ওই সময়ে কোম্পানিটি মাত্র ৮২ দশমিক ৩১ কিলোমিটার লাইন সংস্কার ও প্রতিস্থাপন করেছে।

নিজের দোষ খুঁজে পায় না তিতাস: নারায়ণগঞ্জের বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৩৪ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ লাইন কাটার পর তা পুরোপুরি বন্ধ করেনি তিতাসের লোকজন। পরিত্যক্ত লাইন থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে মসজিদের মেঝের নিচে ফাঁকা জায়গায় জমা হয়। এই জমা গ্যাসে বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। ২০২১ সালের ২৭ জুন ঢাকার মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকার তিন তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত এবং আহত হন শতাধিক। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত ভবনের নিচে পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস বেরিয়ে ভবনের বেঙ্গল মিটের দোকানে জমা হয়। পরে কোনোভাবে আগুনের সংস্পর্শে বিস্ফোরণ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় তিতাসের তদন্ত কমিটি নিজেদের কোনো দোষ খুঁজে পায়নি।

অবৈধ সংযোগ: অবৈধ সংযোগের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও এর সংখ্যা কমছে না। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৮৮টি অভিযানে ৩৪০ কিলোমিটার অবৈধ লাইন উচ্ছেদ এবং ২ লাখ ৭৪ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

ঢাকার বাইরে নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জে তিতাসের পাইপলাইন আছে। এর মধ্যে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও নরসিংদীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের সংখ্যা বেশি। তিতাসের আওতাধীন এলাকায় এখনও শতাধিক কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন রয়েছে। এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জে।

অভিযোগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব তিতাসের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এসব অবৈধ সংযোগের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সংযোগপ্রতি মাসিক বিলও তোলা হয় এসব এলাকায়। তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ দাবি করে, প্রায়ই অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ ও পাইপলাইন স্থাপন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। কারণ এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও প্রভাবশালীরা জড়িত।

তিতাসের গাফিলতি: গ্যাসলাইনের কোথাও লিকেজ হলে, তা জানানোর পরও তিতাসের পক্ষ থেকে প্রায় ক্ষেত্রেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। তিতাসের সাবেক এক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে গ্যাস পাইপলাইনে এক ধরনের গন্ধযুক্ত রাসায়নিক মেশানো হয়, যাতে কোথাও লিকেজ হলে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এবং সাবধান হওয়া যায়। এখন সম্ভবত এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে কোথাও পাইপলাইনের ক্ষতি হলেও সহজে বোঝা যাচ্ছে না।

গ্রাহকের অসচেতনতা: গ্যাস দুর্ঘটনার জন্য গ্রাহকদের অসচেতনতাই দায়ী বলে মনে করেন কোনো কোনো বিশ্লেষক। তাঁরা বলেন, রান্নার পর চুলা নেভানো হয় না অনেক সময়। বাসাবাড়ির গ্যাসের ফিটিংস অদক্ষ মেকানিক দিয়ে করা হয়। অবৈধ লাইন ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও ব্যবহার করা হয়। এসব কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ সালে গ্যাসের লিকেজ থেকে আটটি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পাঁচটিতেই চুলার নব ঠিকমতো লাগানো হয়নি।

তিতাসের এমডি প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ মোল্লাহ বলেন, সিদ্দিকবাজার ও সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণে গ্যাসের আলামত মেলেনি। তবে তিনি স্বীকার করেন তাঁদের বিতরণ লাইনের একটি বড় অংশ বেশ পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে নতুন লাইন বসানোর কার্যক্রম নেই। কোথাও ত্রুটি পেলে সেই লাইন পাল্টিয়ে দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, রাস্তার খোঁড়াখুঁড়িতে প্রায়ই লাইনের ক্ষতি হয়।

তিনি আরও জানান, অবৈধ সংযোগের বিষয়ে তাঁরা কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন। নিয়মিত অভিযান চলছে। অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি হচ্ছে। পুরোনো লাইন প্রতিস্থাপনে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.