ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল ইসি

0
183
মোস্তফা ফারুক।

ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফরিদপুরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হবার পর যেকোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনো কারণ না দর্শিয়েই তাকে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করতে পারবে।

এই আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এমন সময় অবসরে পাঠানো হলো যখন ফরিদপুর সদরের ১১টি ইউপিতে নির্বাচন ও মধুখালীর একটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৬ মার্চ এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করার কথা।

ফোন না ধরায় এ ব্যাপারে মোস্তফা ফারুকের বক্তব্য জানা যায়নি। মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে এই অবসর আইনগত হয়েছে কি না- সে বিষয়ে উত্তর দিতে সম্মত হননি তিনি।

মোস্তফা ফারুক ১৯৯৬ সালের জুনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ভাতা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এই প্রশিক্ষণের কাজ করে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। ওই সময় এই ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন মোস্তফা ফারুক। তখন প্রশিক্ষক হিসেবে ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স উপদেষ্টা’সহ কয়েকটি পদ তৈরি করে সারা দেশে তিন কোটি টাকার বেশি সম্মানী ভাতা দেয় ইসি।

এ ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। পরে এটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল অডিট অধিদপ্তর। তারা বলেছিল, নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য কোর্স উপদেষ্টা, বিশেষ বক্তাসহ ইসির তৈরি করা কয়েকটি পদ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নয়। ওই ভাতা প্রদানের ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

২০১৯ সালে ২৮ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের চার পদে রদবদল করা হয়, যার মধ্যে মোস্তফা ফারুককে ঢাকা থেকে সরিয়ে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাকে অবসরে পাঠান হলো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.