দেশের হয়ে ৬টি ওয়ানডে ও ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন হাসান। তাতে এই পেসারের শিকার ২৩ উইকেট। ছোট্ট আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হাসানের বড় অর্জনটা এসেছে দুই দিন আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন হাসান।
তবে বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্সের আত্মবিশ্বাস তিনি পেয়েছেন গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। আজ সংবাদ সম্মেলনে এল সে ম্যাচের প্রসঙ্গও, ‘ভারতের সঙ্গে ওই ম্যাচের পর আমার ভয় কেটে গেছে। এখানে আমার জন্য একটু সহজ হয়েছে।’
নতুনদের নিয়ে সাজানো সাকিব আল হাসানের টি-টোয়েন্টি দলের প্রতিনিধি হাসান। তাঁর দৃষ্টিতে এই দলটাই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যে দলটা আছে, সেটা “ওয়ান অব দ্য বেস্ট বাঞ্চ অব প্লেয়ার্স।” খুবই এনার্জেটিক, সবাই মাঠে খুব চেষ্টা করে। এটা যদি ধরে রাখতে পারি, এই ব্যাচটাকে যদি রাখতে পারি, তাহলে যেকোনো সংস্করণে এগিয়ে থাকব।’
সাকিবের এই দলের মধ্যে আছে শেখার আগ্রহও। হাসান যেমন মুখিয়ে আছেন প্রতিপক্ষ দলের ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে কথা বলে কিছু কৌশল শিখে নেওয়ার জন্য। জফরা আর্চার, মার্ক উডদের সঙ্গে সিরিজ শেষে কথা বলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে বললেন, ‘সিরিজ শেষে জিজ্ঞাসা করব, চাপটা কীভাবে সামলান, নতুন বল কীভাবে করে…ওনারা তো কোনো চাপ ছাড়াই বল করেন।’