তানিয়া আহমেদকে সিরিজে দেখা গেছে দুই বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতে। তরুণ এবং মধ্যবয়সী পরবর্তী সময়টা পর্দায় তুলে ধরেছেন। আর এই দুটি চরিত্রেই প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর মায়ের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন দর্শক। এই প্রসঙ্গে তানিয়া বলেন, ‘আমি একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। যেখানে চরিত্রে নানা বাকবদল, চড়াই উৎরাই, গভীরতা রয়েছে। এটা একটি ফিকশন। সেখানে লেখক যেভাবে চরিত্রটিকে দেখেছেন সেটাই পর্দায় রূপ দিয়েছি। অন্যকিছু ভাবিনি। তারচেয়ে বরং আমার মেকআপ গেট আপ এসব নিয়ে ভেবেছি, কীভাবে কাজটি ভালো করা যাবে সেটা নিয়ে ভেবেছি। যার ফল এখন পাচ্ছি।’
গত মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি হইচইয়ে মুক্তির কথা ছিল ‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজটির। তখন এ সিরিজটি নিয়ে আপত্তি তোলে সালমানের পরিবার। সেই সময় সাধারণ ডায়েরির পাশাপাশি সিরিজের নির্মাতাকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন সালমানের পরিবার। এতেই আটকে যায় সিরিজটির মুক্তি। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরিজটি মুক্তি পায়।
গল্পে কাকতালীয়ভাবে সালমান শাহর মায়ের চরিত্রের সঙ্গে মিলে গেছে কিনা– এমন প্রশ্নে তানিয়া বলেন, ‘আমাদের জীবনের অনেক কিছুই অনেকের সঙ্গে মিলে যায়। আমার শৈশব, তরুণ বয়স কেমন সেই গল্পটা কিন্তু মাঝে মাঝে অন্যের গল্পে দেখি। তার মানেই কি সেটা আমার গল্প। আমি মনে করি জীবন একটাই। সেখানে কারও সঙ্গে কারো মিল যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। জীবনে কাকতালীয় ভাবে অনেক কিছুই মিলে যায়। আমাদের গল্পটার চিত্রনাট্য যখন হাতে পাই তখন এটাকে আমার কাছে একটি আর ১০টি গল্পের মতোই মনে হয়েছিল। যেখানে অপূর্বের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে গল্পটি দেখানো হয়। এই উপস্থাপনাটাও ভালো লেগেছিল। কিন্তু কারও সঙ্গে চরিত্রটি মিলে যাবে এটা মাথায় আসেনি।’
তানিম রহমান পরিচালিত সিরিজে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম মামুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সিনেমায় তারকা অভিনেতার চরিত্রে পাওয়া গেছে ইয়াশ রোহানকে। সেই চিত্রতারকা মৃত্যুরহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব পান গোলাম মামুন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর পরিবারের তরফ থেকে সিরিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম। নোটিশে দাবি করা হয়েছে, এটি সালমান শাহকে নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তি বন্ধ না করলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে সিরিজের নির্মাতা তানিম রহমান দাবি করেছেন, সিরিজের সঙ্গে সালমান শাহর কোনো সম্পর্ক নেই।