বায়োপসি করানোর পর থেকে ওই ক্ষতস্থান ‘দারুণভাবে নিরাময়’ হয়েছে। তাঁর আর এ–সংক্রান্ত চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না।
ওই নোটে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বাইডেনের ব্যাসাল সেল কার্সিনোমা নামে একধরনের ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। এ ক্যানসার সাধারণত ছড়ায় না বা মেটাস্টেসিস হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) বলছে, ব্যাসাল ও স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা যুক্তরাষ্ট্রে ত্বকের ক্যানসারের দুটি সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
স্কিন ক্যানসার ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৩৬ লাখ মানুষের এ ক্যানসার শনাক্ত হয়। এটি ধীরগতিতে ছড়ায়, নিরাময়যোগ্য এবং শুরুতেই চিকিৎসা নিলে কোনো আশঙ্কা থাকে না।
সিডিসি বলছে, মেলানোমা নামে ত্বকের ক্যানসারের আরও একটি রূপ আছে। এটা শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যাসাল ও স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা সাধারণত নিরাময় করা যায়। তবে এর চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল।
গত জানুয়ারিতে বাইডেনের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের শরীর থেকেও এ ধরনের তিনটি টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি টিস্যু ব্যাসাল সেল কার্সিনোমা হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে বাইডেনের শরীর থেকেও নন-মেলানোমা নামে ত্বকের ক্যানসারের বেশ কয়েকটি টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
২০২১ সালে বাইডেনের স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসক ও’কনর লিখেছিলেন, প্রেসিডেন্টের টিস্যুগুলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়েছে। এ মুহূর্তে তাঁর শরীরে ত্বকের ক্যানসারের জন্য কোনো সন্দেহজনক জায়গা নেই।
ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধে ত্বক ঢেকে রাখা ও সব সময় এমনকি শীতকালেও সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বাইডেনের পরিবার অনেক বছর থেকেই ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বিউ মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।