গ্রেট পিরামিড অব গিজা হলো প্রাচীন বিশ্বের সবশেষ সপ্তাশ্চর্য, যেটি এখনো টিকে আছে। মিসরের পুরাকীর্তিবিষয়ক পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্ক্যান পিরামিডস প্রকল্পের গবেষকেরা সেখানে করিডরটির সন্ধান পেয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে প্রকল্পটির কাজ চলছে। এই প্রকল্পে ইনফ্রারেড থার্মোগ্রাফি, থ্রিডি সিমুলেশনস এবং এন্ডোসকোপের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৬০ সালের দিকে ফারাও খুফুর শাসনকালে স্মারক সমাধি হিসেবে পিরামিডটি নির্মিত হয়েছে। এই পিরামিড ১৪৬ মিটার উঁচু। ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে আইফেল টাওয়ার নির্মিত হওয়ার আগে পর্যন্ত এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু অবকাঠামো।
ধারণা করা হচ্ছে, পিরামিডটির ভর বহনের জন্য অসমাপ্ত এই করিডর নির্মাণ করা হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা প্রথমে রাডার ও আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে করিডরটির অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর পিরামিডের পাথরগুলোর ক্ষুদ্র সংযোগস্থলের মধ্য দিয়ে জাপানের ৬ এমএম পুরু এন্ডোস্কোপের মাধ্যমে ছবি তোলা হয়।
পিরামিডের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে মিসর সরকারের পুরাকীর্তিবিষয়ক বিভাগের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেন, পিরামিডটিতে গবেষণার কাজ চলবে। এর তলদেশে কিংবা শেষ ভাগে কী আছে তা অনুসন্ধান করা হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে স্ক্যান পিরামিডসের গবেষকেরা গ্রেট পিরামিডের ভেতরে কমপক্ষে ৩০ মিটার দীর্ঘ একটি ফাঁকা জায়গা আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।