আগামী ৯ মার্চ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এবারের আসরটি উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন তারকা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।
ফারিয়া বলেন, ‘এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমি নেচেছি। প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি- বিষয়টি ভেবে ভালো লাগছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন আয়োজনে, তাই ভয়ও কাজ করছে। তবে এটাও সত্যি, আমার কাছে উপস্থাপনাকে ভীষণ চালেঞ্জিং মনে হয়। যাঁরা আমাকে এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার জন্য নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এখন শুধু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা- ঠিকঠাকভাবে যেন সবার ভালো লাগার মতো উপস্থাপনা করতে পারি।’
এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
মোট ২৭ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়েছে এবারের পুরস্কার। সেরা নির্মাতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা চলচ্চিত্রসহ সর্বোচ্চ সাতটি বিভাগে পুরস্কার জিতে নিয়েছে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মিত ‘নোনাজলের কাব্য’। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতেছে নুরুল আলম আতিক নির্মিত সিনেমা ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। মোট ছয়টি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে সিনেমাটি।
একনজরে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১’ বিজয়ীরা
আজীবন সম্মাননা: ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন
সেরা চলচ্চিত্র (যৌথভাবে) : লাল মোরগের ঝুঁটি (মাতিয়া বানু শুকু) ও নোনাজলের কাব্য (রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ধড় (আকা রেজা গালিব)
সেরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: বধ্যভূমিতে একদিন (কাওসার চৌধুরী)
সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
সেরা অভিনেতা (যৌথভাবে) : মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল)
সেরা অভিনেত্রী (যৌথভাবে) : আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)
সেরা অভিনেতা (পার্শ্ব চরিত্রে) : এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য)
সেরা অভিনেত্রী (পার্শ্ব চরিত্রে) : শম্পা রেজা (পদ্মাপুরাণ)
সেরা অভিনেতা (খল চরিত্রে) : মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা অভিনেতা (কৌতুক চরিত্রে) : প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা)
সেরা শিশুশিল্পী: আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)
সেরা সংগীত পরিচালক: সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)
সেরা গায়ক: কে এম আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মাপুরাণ)
সেরা গায়িকা: চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মাপুরাণ)
সেরা গীতিকার: প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)
সেরা সুরকার: সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)
সেরা কাহিনিকার: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
সেরা চিত্রনাট্যকার: নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা সংলাপ রচয়িতা: তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)
সেরা সম্পাদক: সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা শিল্প নির্দেশক: শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য)
সেরা চিত্রগ্রাহক (দলগত) : সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা শব্দগ্রাহক: শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর)
সেরা পোশাক ও সাজসজ্জা: ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)
সেরা মেকআপম্যান (দলগত) : মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)