বাংলাদেশকে একটা দুর্বল, নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘কী কারণে বিদ্রোহ চলার সময় বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে আপনারা কথা বলছেন? তাঁদের সঙ্গে আপনারা তখন সমঝোতা করছিলেন। কিসের সমঝোতা?’
ফখরুল আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন—কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসছে। নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যেতে চাই, সে কারণে আমরা সমস্ত গণতান্ত্রিক পন্থায় এগোচ্ছি। আজকে সেখানে বাধা দিয়ে তাঁরা মনে করছেন যে খুব ভালো কাজ করছেন। শিগগিরই জনগণ তার প্রতিরোধ করবে।’
বিএনপি ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি যখন চাল, ডাল, তেলের মূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে, তখন থেকে তারা গুলি করে হত্যা করা শুরু করেছে। ১৭ জন নেতা-কর্মীকে রাজপথে গুলি করে হত্যা করেছে। অসংখ্য নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। রুহুল কবির রিজভী থেকে শুরু করে এখনো আমাদের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জেলে আছেন।’
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিডিআর আমাদের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য নিবেদিত ছিলেন। এই চক্রান্তের মূল ছিল বিডিআরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া।
বিডিআরের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সামরিক বাহিনী থেকে যাওয়া কর্মকর্তারা। সেই সীমান্ত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও বেসরকারি কর্মকর্তারা।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এবার আর দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এর জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী থাকবে। আমরা পদযাত্রা করি, তারা পাশে শান্তিযাত্রা করে। তাদের শান্তি কমিটির সঙ্গে বিএনপির সঙ্গে এমন যুদ্ধ লাগবে, এতেই তাদের কেল্লাফতে হয়ে যাবে। এই যে গৃহযুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে, এর জন্য দায়ী থাকবে আওয়ামী লীগ সরকার।’