র্যাব বলছে, ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া নামে পরিচিত ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া এই মডেল। পরে তিনি সুহাসিনী ওরফে অধরা ছদ্মনামে পরিচিত হন। ২০১৬ সালে নিজের পরিচয় গোপন করে মডেলিং ও অভিনয় শুরু করেন। বসবাস করছিলেন মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারে।
র্যাব–৩–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের একটি ভবন থেকে শাহ আলী থানায় ওই সময় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন কবিরের (৪৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষপ্রয়োগ ও শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় ফজিলাতুন্নেছার যাবজ্জীবন সাজা হয়।
এই র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, হুমায়ুন হত্যাকাণ্ডের পর ফজিলাতুন্নেছা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় পোশাককর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে জাল এসএসসি সনদ তৈরি করে ঢাকায় একটি মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।