এবার পাটোয়ারি পদে আবেদন করেছেন ১২ লাখ ৭৯ হাজার জন। তাঁদের মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রিধারী আছেন এক হাজার। এ ছাড়া এই পদে ৮৫ হাজার প্রকৌশলী, লাখখানেক এমবিএ ডিগ্রিধারী এবং প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার বিজ্ঞান ও মানবিকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা ব্যক্তিরা আবেদন করেছেন।
পাটোয়ারি পদে আবেদন করেছেন প্রবীণ শর্মা। প্রকৌশলীতে স্নাতক করা ২৯ বছরের এই তরুণ বলেন, করোনাকালে সরকারি চাকরির পরীক্ষা বন্ধ ছিল। অনেকের বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে। তাই এই পদে এতসংখ্যক উচ্চশিক্ষিত তরুণ ও তরুণী আবেদন করে থাকতে পারেন।
গত জানুয়ারিতে মধ্যপ্রদেশের বেকারত্বের হার ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর তুলনায় বেশ কম ছিল (১ দশমিক ৯ শতাংশ)। এরপরও পাটোয়ারি পদে এত এত উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীর আবেদনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকার তরুণদের কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। দলটির মুখপাত্র আব্বাস হাফিজ বলেন, পাটোয়ারি পদে আবেদনকারীদের এই সংখ্যা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার নজির।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, বিভিন্ন খাতে হাজার হাজার ফাঁকা পদ পূরণ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে পাটোয়ারি ছাড়াও শিক্ষক ও পুলিশ রয়েছেন। রাজ্য সরকার বেকারদের চাকরি খুঁজতে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন উদ্যোগে সহায়তা করে যাচ্ছে। রাজ্যে বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টাও করা হচ্ছে। এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে, বেকারত্ব কমে আসবে।