নিহত রাসেলের ফুফু রুনিয়া বেগম বলেন, ‘এলাকায় মাছঘাটের নিয়ন্ত্রণ, নদীতে ড্রেজার মেশিন বসানো ও চরের জমি দখল কেন্দ্র করে বি এম শাহজালাল রাহুল সব সময় প্রভাব বিস্তার করেন। রাহুলের সঙ্গে আমার ভাই মনির হোসেনের বিরোধ ছিল। আমার ভাই সেগুলোর প্রতিবাদ করায় তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ কারণে তাঁর ভাইয়ের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ড্রেজার মেশিন দিয়ে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করেন। একই স্থানে শাহজালাল রাহুলেরও বালু তোলার ড্রেজার বসানো আছে। আজ সকালে নজরুলের এক শ্রমিকের সঙ্গে রাহুলের ড্রেজার শ্রমিক ফারুকের কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাহুল ও তাঁর লোকজন রাসেলকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে রাসেলের মৃত্যু হয়। তার লাশ স্থানীয় লোকজন জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বি এম শাহজালাল রাহুল ও তাঁর লোকজন গা ঢাকা দেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বি এম শাহজালাল রাহুলসহ ৬ জনকে আটক করেছে।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজী বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাহুল ও নজরুলের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে রাসেল নামের একজন মারা গেছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এক কিশোর ঘটনাস্থলে মারা গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।