এসএসসি পরীক্ষায় বসতে এগুলোসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা মানতে হবে পরীক্ষার্থীদের। সেগুলো হলো—
- পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
- প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
- প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
- পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে।
- শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলোর এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে পাওয়া নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
- পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
- পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
- প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ডে উল্লেখিত বিষয়গুলো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
- কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ বিদ্যালয়ে বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
- পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
- কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবে না।
- সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র বা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
- পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর দিনে বাংলা প্রথম পত্র, ২ মে বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ৩ মে ইংরেজি প্রথম পত্র, ৭ মে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ৯ মে গণিত, ১০ মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ১১ মে ধর্মশিক্ষার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ১৪ মে পদার্থবিজ্ঞান, ১৫ মে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ১৬ মে রসায়ন, ১৭ মে ভূগোল ও পরিবেশ, ১৮ মে জীববিজ্ঞান, ২১ মে বিজ্ঞান, ২২ মে হিসাববিজ্ঞান ও ২৩ মে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের পরীক্ষা হবে।
সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ও এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের শুরুতে হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। পরীক্ষার এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আগামী বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
এসএসসির রুটিন ও শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা দেখতে এখানে ক্লিক করুন