‘জোর’ করে বিয়ে দেওয়ায় বাবাকে ছুরিকাঘাত, মেয়ে গেলেন কারাগারে

0
230
ছুরিকাঘাত

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী অনেক আগেই মারা গেছেন। তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে পীরগাছা উপজেলার একটি গ্রামে থাকতেন। তিন মাস আগে পুলিশ কর্মকর্তার বড় মেয়ের সঙ্গে নৌবাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের বিয়ের নিবন্ধন করানো হয়। এই বিয়েতে ওই তরুণীর মত ছিল না। অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে নিবন্ধনে স্বাক্ষর করানো হয়েছিল। এরপর গত শুক্রবার রাতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যথারীতি রাতে নির্ধারিত সময়ে বরযাত্রীও চলে যান ওই বাড়িতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কাজী বিয়ের পড়ানোর সময় কনে ‘কবুল’ শব্দটি বলছিলেন না। একপর্যায়ে কনে ওই ঘরে উপস্থিত সবাইকে বাইরে যেতে বলেন এবং তাঁর বাবাকে ঘরে আসতে বলেন। এ সময় বাবা ঘরে ঢুকলে কনে হঠাৎ তাঁরা বাবাকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তার চিৎকারে বাইরে অপেক্ষমাণ লোকজন ছুটে আসেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুহূর্তেই বিয়ের আনন্দ আয়োজন বিষাদে পরিণত হয়। তৎক্ষণাৎ সঙ্গে আসা লোকজন নিয়ে বর বিয়ের আসর থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।

খবর পেয়ে পীরগাছা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার দুই মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে দুই মেয়েসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এই মামলায় দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুরের পীরগাছা আদালতে পাঠালে আদালত বড় মেয়েকে কারাগারে ও ছোট মেয়েকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, জোর করে বিয়ে দেওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বাবাকে ছুরিকাঘাতের সময় তাঁর ওই ছোট বোন তাঁকে সহযোগিতা করেছে বলে জানা গেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.