নওয়াজুদ্দিনের স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর আইনজীবী রেজওয়ান টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, এটা নওয়াজের গৃহপরিচারিকার বার্তা। যেখানে স্বপ্না রবিন নওয়াজের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ করেছেন। স্বপ্নার ভাষ্যে, ২০২১ সালে নওয়াজেনর স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে দুবাই যান তিনি। তাঁকে সেলস ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেখানো হলেও পরে নওয়াজের দুই সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দুবাই যাওয়ার পর নওয়াজ তাঁর দেখভালের দায়িত্ব নেননি। এমনকি ভিসা ফির অজুহাতে বেতনও দেননি নওয়াজ।
স্বপ্নার অভিযোগের কথা তুলে ধরে নওয়াজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন আলিয়ার আইনজীবী রেজওয়ান। তাঁর টুইটের পর নেট–দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরে আরেকটি টুইটে রেজওয়ান জানান, নওয়াজুদ্দিনের টিম স্বপ্নার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে ভারতের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
সজল চোখে স্বপ্না ভিডিওতে বলেন, নওয়াজুদ্দিন যখন তাঁকে দুবাই রেখে আসেন, তাঁর কাছে কোনো অর্থ ছিল না। এমনকি তাঁকে খাবারও দেওয়া হয়নি।
২০২১ সালে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর স্ত্রী আলিয়া দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাইয়ে চলে যান। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই আলিয়া ভারতে ফিরে আসেন। তার পর থেকে অভিনেতার সঙ্গে আন্ধেরির বাড়িটি নিয়ে ঝামেলা চলছে। বিয়ে নিয়েও রয়েছে আইনি জটিলতা। নওয়াজুদ্দিনের আইনজীবী সম্প্রতি দাবি করেছেন যে আলিয়া এখনো তাঁর প্রথম স্বামী বিনয় ভার্গবের সঙ্গে বিবাহিত। নওয়াজুদ্দিন ও আলিয়া ২০১১ সালে বিয়ে করেন। দুজনের দুটি সন্তান রয়েছে—মেয়ে শোরা ও ছেলে ইয়ানি।